Thursday, October 8, 2015

নিঝুম দ্বীপ


-----------------------------------
তোমাদের সমুদ্র সম হৃদয়ে আমি নিঝুম দ্বীপের প্রেম
যেখানে শান্ত জলরাশি নিবিড় মায়ায় ডাকে প্রাণের তরে ।
হিমালয়ের বিন্দু বিন্দু জলের পলি কনায় ভেসে আসে মমতা
ক্ষণকাল নদী মোহনা পেরিয়ে জল সমুদ্রে বাঁধে নিয়মের সংসার ।
ধ্যানের সুরভি মেখে হাঁটি সবুজ কেওরা বনে বলগা হরিণের সাথে
খুঁজে পাই তোমার সমুদ্র বুকে বিস্তৃত শাখা-প্রশাখার ডুবচর প্রেম!
আমি রাধা নই শ্যাম কেউ চাইনা শুধু বিবিধ নিয়মে সমুদ্রের দ্বীপ বালিকা
আমার চার দিক থই থই জল রাশি আমি যেন তোমার বুকেই সেই দ্বীপ
প্রেমময় প্রতিটি পলিমাটিতে লিখে যাই জীবনের বহমান সূত্রমালা
ভাঙ্গা গড়া জীবনে ভরসা শুধু বিধানের নিয়ম ভেঙে গড়ি নিঝুম দ্বীপ ।
জিবনের তোমাকে ভেবে ভেবে সূত্রের বিন্যাসে লাগে অসীমের ঢেউ
তোমার প্রেমে সমুদ্র বালিকার মন দুলে ওঠে অবেগর সাথে ব্যাকুলতায়
হয়ত বাতাসে পাল হয়ে বেসামাল নৌকায় লাগে দোলা আমার
শসমুদ্র বিশাল লোনা খেলা জলে জেগে ওঠে অপার মহিমায় নিঝুম দ্বীপ ।
সমুদ্র মন্থনের পর উঠে আসা যতো সুন্দর তার সব চেয়ে দেখ এ দ্বীপে
শুধু প্রগাঢ় নীল আমি সমুদ্রের সেই নীল পানে নীলকণ্ঠ নিঝুম বালিকা
আলোর আধারে সমুদ্রের মাঝে নক্ষত্রের রাতে মাতাল ঘোরে চেয়ে থাকি
অচেনা হয় যদি, তোমারে চিনিতে চিনিতে আবার শীতল জলে ভাসি
সমুদ্র তোমার জন্য সমস্ত গোলাপের পাপড়ি আমার আচলে রাখি তোমার জন্য
বেলা যায় জীবনের ঢেউ তোলে দ্বীপ বালিকা কিছুই জানে নাকো কেউ !
যে শিশির চলে গেছে সিঁদুর-সূর্য নিয়ে নিদারুণ মাহা কালের পথে সমুদ্র পথে
তার তরে অচেনা জনপদের নিঝুম দ্বীপ কেন জাগে অচেনা ঢেউ !

Thursday, October 1, 2015

হাতে-হাত রেখে একটু হাঁটি
---------------------------------------------
চলো হাতে-হাত রেখে একটু হাঁটি ময়ূরাক্ষী নদী’র তীর ধরে
হিম-হিম রাতের লজ্জা উষ্ণতায় ঢেকে দিয়ে আমরা দু’জন
এক টুকরো সবুজ উষ্ণতায় স্বপ্নের ভেতরে যেন ঠিকানা খুঁজি,
ঐ নদী আমার চোখের দিকে তাকাতে পারে না প্রেমের আলিঙ্গনে ।

আকাশ কাঁদুক অনিমেষে অথবা- চন্দ্র বিঁছিয়ে যাক আলগোছে
রুপোলী মায়ার জালে চলো হাতে-হাত রেখে একটু হাঁটি এ পথে
ভারী অদ্ভুত তবু অদম্য আলোর ঝলক স্পর্শ করে মায়াবী মন
শরীরে রেশমি কাপড় চড়ায়ে উষ্ণ অনুভূতি,সমুদ্রের জলে ভেজা ।
পূর্ণ-পূর্ণিমা রাতে জোছনার মেলায় চলো হাতে-হাত রেখে একটু হাঁটি
তক্ষক হয়তো ডেকেই যাবে; প্রহরে-প্রহরে তবুও রাত হবে ধীরে- ধীরে
হৃদয় গহনে ঘোরে স্মৃতির স্রোত। হায় যৌবন, ভালোবাসার কাঙালি হয়
চারদিকে বয়ে গেছে শুনশান প্রাচীনতম ময়ূরাক্ষী নদ-নদী প্রেমের জোয়ারে ।
ইথারের দুর শব্দে বাতাসে বাঁজে তার ধ্বনি রিনরিনে এক সুমধুর সুর শুনি
আমি কান পেতে শুনি ভালবাসায় আর ভাললাগার পরম আবেগে সময়
শেষ রাতের শিশির ঝকমক করে উত্তরের ঝিরিঝিরি হিমেল হাওয়ায় এ পথ
কাঁপন ধরায় আমার শরীরে ,লাজুক হেসে বলে চলো হাতে-হাত রেখে একটু হাঁটি ।
সরু অলি-গলি- মাকড়সার জাল ছোট্ট ছোট্ট নীল কুটির,জোছনা করে হেলাফেলা-
তলিয়ে যাই আমি, ভালবাসার ময়ূরাক্ষী নদী’র শীতল জলে বাতাসে ভাসে যেথা,
রজনী গন্ধার সুবাশ গায়ে মাখি আলতো হেসে আমার আমি’র নিজস্ব পৃথিবীতে
চলো হাতে-হাত রেখে একটু হাঁটি ময়ূরাক্ষী নদী’র তীর ধরে স্বপ্নের অরন্যের সাথে ।