Friday, March 20, 2015

জার্মান শেফার্ড কুকুর( ছোট গল্প)


এক ভদ্র লোক খুব সখ করে একটা জার্মান শেফার্ড কুকুর পালেন ।
কুকুর খুব ভয়ানক দেখতে কিন্তু কুকুর কাউকে দেখে গেউ ঘেউ করে না। শুধু গয়েন্দা পুলিসের মত আচরণ করে । একদিন ভদ্র লোকের বাসায় একটা অনুষ্ঠান যথা রীতি মেহেমান রা আসছে।
কুকুর সবার দিকে নজর রাখছে । ঠিক এই সময় একজন পুলিশ বন্ধু এলো কুকুর এক বার ঘেউ করে পুলিসের দিকে তাকালও । পুলিশ অবশ্য নরপাল পোশাকে ছিল ।
পুলিশ একটু ভয় না পাওয়ার ভান করে চুপ করে সোফায় বসে পরল।
ভদ্রলোকের উকিল ও ডাক্তার বন্ধু কে দেখেও এক দুই বার চোখ লাল করে ঘেউ ঘেউ করে উঠল । যাই হোক শেফার্ড কুকুর সবার নজর কাটল যে একটা শিশুর সামনে সে খুব মায়াবী আচরণ করল । শিশুটির শরীরে পানি পরাতে সে একটা টিস্যুর বক্স কামড় দিয়ে এনে শিশুটির সামনে রাখল ।
অনুষ্ঠান চলছে এমন সময় ভদ্রলোকের বাসায় তার সব চেয়ে প্রিয় বন্ধু বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ এলো এমনেই শেফার্ড কুকুর তাকে ঘেউ ঘেউ করে কামড়ে ধরল ।
আর চিৎকার করে ঘেউ ঘেউ ঘেউ করে তার অবস্তা বারটা বাজাল ।
যাই হোক কোন মতে রাজনীতিবিদ কে শেফার্ড কুকুরের হাত থেকে রক্ষা করে হাসপাতালে পাঠাইল ।
তার পরের দিন সে ভদ্রলোক শেফার্ড কুকুরটাকে নিয়ে একজন কুকুর বিশেষজ্ঞের কাছে গেল ।
বিশেষজ্ঞ ভদ্রলোক কে বলল- খুব বড় ধরনের ক্রিমিনাল ছারা এই কুকুর সহজে কাউকে কামরায় না ।
(এটা শুধুই একটা কাল্পনিক গল্প । কে অন্য কিছু মনে করবেন না)

Thursday, March 19, 2015

বাঙালি ললনা


ভালবাসা নিয়ে তুমি খেল দাবা খেলা
শেয়ার বাজারে তুলো মুনাফার সনদ,
আর লুটে নাও দরপতনের খেলায়,
তোমার রাহু চক্রে হারায় স্বর্ণ কোমল ।
তোমার কাছে জীবন জুয়ার বাজার
ভালবাসা শেয়ার মার্কেটের দরপতন
আর আমি হলাম তোমার বে-হিসাবি
হল মার্কের তাসের ঘরের রাজ কন্যা ।
লুটে নাও গন তন্ত্রের নামে তোমার স্বার্থ
কাছে টেনে নাও বুকে ধরে বুলেট
তুমিই তোমার আচরণেই প্রকাশ কর
আমার মুক্তি মানে আমি খুন ।
ভালবাসা এখন বড় সস্তা খেলা
রবি সিমের কেউ আমারে ফেলে দে
বা, বাংলালিংকের চিনি বেশী বিজ্ঞাপন,
নারীর মন টাকার হাত বদল ।
ভাল বাসা নিয়ে তুমি খেল, খেলা !
আমি না পারি, তাই বলে কি কেউ!
জানবে না! তোমার নিষ্ঠুর হিটলারি পনা
ভুলে যেও না আমি বাঙালি ললনা!!!

Tuesday, March 17, 2015

আমি তুমি আর বৃষ্টি


যদি তুমি মেঘ বৃষ্টি হয়ে ঝরে পরো
মেঘলা আকাশ সূর্যের লুকোচরি খেলা
হঠাৎ এক পশলা বৃষ্টি তুমি বয়ে যাও
ক্লান্ত শরীর ছুয়ে আমার সারা বেলা বৃষ্টি !!!!
এলোমেলো পথ ভাবনা গুলো হাওয়ায় উড়িয়ে
নগ্ন দুটি পায় ভেজা মেঠো পথ আর দুটি নুপুর
ভেজা চুলের ফাকে ঝাপসা চোখে দেখব বৃষটিরধারা
ঠুংঠাং রিকশার ধ্বণি আকাশের গুম গুম ডাক বিজলী
রিনিঝিনি চূড়ির সূরে হেটে যাব দূরে বহুদরে একাকী
মাতাল হয়ে আমি নাচবো নীল ফিতায় দু বেণী ধরে
ছল ছল বৃষ্টির পানি আর ধিন ধিন তা তা থই থই নাচ
কাঁদা জলে নুপুরের শব্দে তুমি মেঘ বৃষ্টি হয়ে এসো
আমার স্বপ্ন বৃষ্টি তুমি আকাশ থেকে নেমে এসো !!!
আমার স্বপ্ন পুরুষ একটা কদম ফুল দিও তো!!
ভেজা নিঃশ্বদ পায়ে এসো কাকভেজা হয়ে এ পথে
তোমার দুচোখে রেখ নিস্বার্থ ভালবাসায় আমার হাতে
যেখানে দেনা পাওনার হিসেব অর্থহীন সব স্বার্থপরতা !!!
সব কষ্টভুলে বৃষ্টির বারতায় শুদ্ধ হব সেদিন তামার সাথে
আহ্‌ কতইনা ভাল হবে আমি তুমি আর বৃষ্টি একসাথে
এমন বর্ষায় বিলিন হব যেদিন আমি তোমাকে পেয়ে !!

কালো তিল নারী



আমি নারী,আমি প্রেমিকা , আমি সহধর্মিণী।
আমি প্রেমময়ি, আমি স্নেহময়ী,
আমি তোমার জীবনে প্রভুর আশীর্বাদ।
আমার সকল প্রেম বিলিয়ে দিবো
পূর্ণ হওয়ার আশায় সকল অতৃপ্ত কামনা।
নক্সী কাঁথার মতোই বিস্ময়কর এক উষ্ণতা নিয়ে
বুনে যাও তুমি প্রতিদিন বহুবর্ণ স্বপ্নের নানান নক্সা ।
তোমার তরে আমার সকল বাসনা সুখানুভূতির,
আমি আর আমার কবিতা পাশা পাশি পথ চলি
অনাদি কালের অন্তহীন গন্তব্যের!আমি নারী।
আমি আর আমার কবিতা মুখোমুখি বসি
প্রতিবিম্বের অনুরুপ চিন্তায় চেতনায়!
আমি নারী ভাগ্য বিধান যে লিখেছেন
সে যদি হয় খোশ?পাপ পুন্যের হিসেব কষে
লাভ কি হবে? যার বিধান সে লিখেছেন ইচ্ছে মতো তার।
সেই হিসেব মতোই তো করছি আমি সব,
আমি নারী,আমি প্রেমিকা ,আমি প্রেমময়ি,
তুমি দাঁড়াও তো একটু। একটু দাঁড়াও।
দাঁড়িয়ে আমার শেষ কথা শুনে যাও,
আমি তোমাকে চাই না, চাই না তোমাকে।
স্বপ্নবিদ্ধ হয়ে কেউ কেউ বেঁচে থাকে আজীবন
কখনো খোলা আকাশের নীচে,
কখনো চৌকাঠ পেরিয়ে চিলেকোঠায়,
কখনো বাগান পেরিয়ে পায়ে চলা পথে
কখনো বা আবছা আঁধারে
দেয়ালের কার্নিশ ঘেষে
আমি নারী,আমি প্রেমিকা
চোখের ভেতর মনির পাশে
আজীবন জেগে থাকা একটা কালো তিল নারী

Saturday, March 14, 2015

bolona kothy tumi

যে কখনও ভালোবাসে


কাল কেউটের ফণায় রেখেছিলাম এ কোমল হৃদয়খানি
ভয়ের বিষে স্নান করে সিক্ত বীণে মুগ্ধ নাগিনী যেন সমর্পিত ।
আলোছায়া ঘিরে আছো দাঁড়িয়ে দু’চোখে অনন্ত প্রেমের ক্ষুধা
অমাবশ্যার কালো মেখেছি গায়ে, ঢেকেছি মুখখানি আধারে ।
চলে এসো ফোঁটাবো কাশফুল বেদনার চরে স্বপ্ন কাননে
ফুল ঝরে যায়,বসন্ত উড়ে যায় অচেনা ঝড়ে নুপূরের টানে ।
পথিক হেঁটে যায়, জানে না কোথায় তার শেষ ঠিকানা
বঁধু কেঁদে যায় ভালবাসা হারালো তার পদ্মার ভাঙ্গনে ।
নদী বয়ে যায়, কোথায় যে ভাঙ্গে আর কোথায় গড়ে
হারিও না মাঝি আলেয়ার পথে ছুটে চলা পারে পারে ।
চাঁদ ডুবে যায় হারিয়েছে রুপালি আবেগর বাসনা,
শুকতারা জ্বলে যায় চোখে নেই তার কোন প্রত্যাশার ।
ফিরে এসো সুবাসিত ফুল, ভরে দাও বিবর্ণ আঙিনা
কোথায় যে হারায় কোন অচেনা সুরে ফিরে এসো ।
উড়ে এসো ঘুম ভাঙ্গা গানে জুড়াও প্রাণের যাতনা মোরে
পাখি গেয়ে যায়, গেয়ে যায় আলেয়ার পথে হারিও না প্রিয় ।
অপেক্ষার পাঁপড়ি ঝরিয়ে কেটে গেছে কত নিবিড় রাত্রি
বিজন বনে ফুঁটিয়েছি কতো রাঁধাচূড়া ফুল ভ্রমর ব্যাকুল !
ভরা পূর্নিমায় অঝোর ঝরেছি, আসোনি তো তুমি আঁধারের
সেই এলে যদি পেরিয়ে অশ্রুনদী, হৃদয়ে কেন এত দ্বিধা ।
তুমি সুন্দর যদি নাহি হও তাই বলো কিবা যায় আসে
প্রিয়ার কি রূপ সেই জানে ওগো যে কখনও ভালোবাসে।

,

Friday, March 13, 2015

জন্ম ভূমি বাংলাদেশ


হে আমার জননী জন্ম ভূমি বাংলাদেশ
আমি তোমার চরণ ছুঁয়ে জীবনের স্বাদ নিয়েছি
বিশুদ্ধ জীবনবায়ু খুঁজে পাই তোমার প্রতি নিঃশ্বাস
পৃথিবীর বুকে যদি স্বর্গ থাকে,তুমি জননী জন্ম ভূমি
আমার জীবন মরণ আশা স্বপ্ন দৃঢ় বিশ্বাসের এ ভূমি

তোমার মুখের হাসি লেপ্টে আছে, আমার ঠোঁটের কোনায়
যে স্বপ্ন গড়ি, স্বপ্ন সাজাই প্রতিদানহীন ভালোবাসার মায়ায়,
শস্য দানার অনুদানে ধীরে ধীরে বেড়ে উঠা তোমার বুকে
শত শত বীরের বীরত্ব গাথা,তোমার ইতিহাসে আছে লিখা
হে আমার জননী জন্ম ভূমি ভালবাসি বাংলাদেশ তোমায় ।মা

তোমার সোদা মাটির গন্ধে আমি, মহাকালের অতীত খুঁজি
যার বিশালতার কাছে মাথা নুইয়েছে যুগে যুগে শত জাতি
সেতো তুমি, শুধুই তুমি হে আমার জননী জন্ম ভূমি বাংলাদেশ
একবার দুবার নয়, শত জন্মের জীবন আমি করি দান হেসে
প্রার্থনা, তোমার বুকে যেন ফিরে আসি বারবার সবুজ হয়ে ।

এমন কোন স্বপ্ন নয় দেখেছি জননী জন্ম ভূমি বাংলাদেশ
সে তো এমন কোন ঘর নয় ভেঙ্গেছে, আর গড়ার নয়
আমি স্বপ্নের মাঝে স্বপ্ন গড়ে বাঁচি আবার নতুন করে ,
সব ভুল শুধরে নিয়ে ফিরে পাই নতুন আমায় প্রতি ভোরে
আমি একবার, দুবার হারাবো প্রতিবার এ বাংলা মায়ের বুকে !!

Wednesday, March 11, 2015

ভালবাসার ভাষা




ভালবাসার ভাষা স্রষ্টার সান্নিধ্য সব ভুলে তাকে ডাকা,
বাউলের কাছে ভালোবাসা ধ্যানে সুরে তাকেই পাওয়া ।
ধর্মের ভাষায় ভালোবাসা হলো একত্রে বাস ,জন্মদান ,
তোমার আমার কাছে ভালোবাসা আগামীর স্বপ্ন দেখা ।
আমার বাবার ভাষায় ভালোবাসা হলো মাসের তারিখ দেখা,
কাঁচা বাজার, অফিস আদালত, চালডাল, লবনতেল কিনা
মায়ের সাথে ফেলা আসা দিনের সুখ দুঃখের স্মৃতিচারণ ।
ডাক্তারী ভাষায় ভালোবাসা বলে কিছু নেই, মানসিক রোগ
আইনের ভাষায় ভালোবাসা হলো মনের স্বার্থে জন্য চুক্তি ।
তরুণের ভাষায় ভালোবাসা হলো বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস
নীলাকাশ,নদীতীর কাশফুল, বিস্তীর্ণ অরণ্যে দীর্ঘ ভ্রমণ।
কিছু ভালবাসা খালা ফুপুদের নাইওর, কবর জেয়ারত
মা'র সাথে মাঝে মধ্যে ঝগড়াবিবাদ বাসা ভাড়া, উৎসব ।
লম্পটের কাছে ভালোবাসা হলো নারী শরীরের ছন্দ খুজা
পতিতার কাছে ভালোবাসা হলো খদ্দেরের ব্যাগ হাতানো
শিল্পীর কাছে ভালোবাসা হলো ছন্দের মাঝে মন দোলানো,
কবির কাছে ভালোবাসা হলো আত্মভোলা সময় পার ।
আমার ভাষায় ভালোবাসা হলো শঙ্খের মতোন উড়ে যাওয়া,

বাঁচার ইচ্ছা দুবেলা দুদিন


যদিও বাঁচার জন্য আনন্দ পাই না,
অথচ তোমাকে মনে হলে, মনে হয় বাঁচি কিছুকাল, তোমার জন্য।
মনে হয় বাঁচি কিছু কাল
এই মরার দেশে, দুর্নীতির প্রথম স্থান অধিকার করা দেশে,
বাস করি আরও কিছুকাল-
এই দারিদ্র্যের দেশে ;
কিংবা এই লুটেরা, প্রতারক আর পুঁজিবাদি সাম্রাজ্যে,
তুমি নিবিড় হয়ে আসো সত্তায় আমার
তখন বাঁচতে ‍ইচ্ছে করে!
বাঁচতে ইচ্ছে করে আর দুবেলা, দুরাত দুদিন ।
শহরের ভিতর আমি এক নিঃসঙ্গ কাঙাল বেঁচে থাকি,
দুর্বল পাঁজরের খুঁটিতে ভর দিয়ে ;
জানিনা কখন আসবে পরম ডাক
শেষবেলা আসবে তো দুফোটা জল দিতে মুখে !
ঘরের দরজা এবং জানালা শক্ত করে লাগাই
কেনোনো এখন দিন বড় খারাপ,
দেয়ালেও কান আছে, সরিষায় ভূত থাকে।
কী অরাজক অবস্থা এই ডিজিটাল যুগে
কাকেও বিশ্বাস নেই
ফলত আমি মুখের দুই চোয়াল বন্ধ রাখি
কেন্দ্রিয় ব্যাংকের নিরাপত্তার মতো মোটা শক্ত তালা লাগাই ।
বাঁচার জন্য আনন্দ পাই না কোথাও,
যখন তুমি এসে দাঁড়াও মনের জানালায়, উঁকি দাও ।
তখন বাঁচতে ‍ইচ্ছে করে!
বাঁচতে ইচ্ছে করে আর দুবেলা, দুরাত দুদিন।

Monday, March 9, 2015

বন্ধু হিসাবে


তোমাকে দেখা হয় নাই।
তোমাকে বুঝা হয় নাই।
তোমার অস্তিত্ব টের পাই নাই।
তোমাকে সুখের ভাগিদার করা হয় নাই।
তোমার দুঃখ ভাগাভাগি কথাও মনে হয় নাই।
তোমাকে কৃতজ্ঞতা জানানো হয় নাই।
তোমাকে বুঝা হলো না,
তোমাকে জানা হলো না,
কিন্তু তুমি ছিলে আমার সাথে সর্বদাই।
তুমি ছিলে আমার চোখের সামনেই,


কিন্তু


 তোমাকে দেখা হয় নাই।
তুমি ছিলে আমার অন্তরের গভীরে,
তুমি ছিলে আমার আশে পাশেই,
তুমি ছিলে আমার সুখে,
তুমি ছিলে আমার দুঃখে,
তুমি ছিলে আমার কঠিন বিপদে,
বন্ধুত্বের নিবিড় ও স্নিগ্ধ আলিঙ্গনে

গোপনীয়


মাইর খায় মজনু কাঁদে লাইলি , ব্যাপার কি ?
গোপনীয় ।
কাজের মেয়েটা ঘণ্টায় বার বার বারান্দায় , ব্যাপার কি?
গোপনীয় ।
পাশের বাড়ি জোয়ান পোলা আমার গলিতে সারা দিন, ব্যাপার কি?
গোপনীয় ।
একটা সরকারি ফাইলে উপরে লিখা অতি গোপনীয়, ব্যাপার কি?
গোপনীয় ।
ডাক্তারে মনোনীত ল্যাবে সব রোগের পরীক্ষা ! ব্যাপার কি?
গোপনীয় ।
মেয়েটা বার বার বিয়ে ভেঙ্গে দেয় নিজের ইচ্ছায়। ব্যাপার কি?
গোপনীয় ।
ছেলেটা বিয়ে করতে চায় না, পরিবার চিন্তিত । ব্যাপার কি?
গোপনীয় ।
সরকারি চাকরি যা বেতন তার বার গুন খরছ, তবু সুখী। ব্যাপার কি?
গোপনীয় ।
এক টেবিল থেকে অন্য টেবিলে ফাইল যায় না । ব্যাপার কি?
গোপনীয় ।
সরকারি হাসপাতালে ডাক্তার নাই , ক্লিনিকে ডাক্তার পাই। ব্যাপার কি?
গোপনীয় ।
মামলার শুরু আছে শেষ নাই, বিচারের আসায় উকিল ফাসায় । ব্যাপার কি?
গোপনীয় ।
সুযোগ পেলে কিশোরী মেয়ে , শুধু মোবাইল চায় । ব্যাপার কি?
গোপনীয় ।
ভোটের আগে দেয় সালাম , পাশের পরে খুজ নাই । ব্যাপার কি?
গোপনীয় ।
হায় রে কপাল দেশটা গোপনে না জানি কি হারায় !!!!

Sunday, March 8, 2015

মনের ঘরে লাগলে আগুন ,বুঝবে সুজন মনের কি দাহন? , মনের ঘরে তালা দিয় কেউ হবেনা তোর আপন । আপন বলে মনের ঘরে আনবে যারে , সে যদি না বুঝে মনের ধরন , আখি জলে কাঁদবে সুজন মনের ঘরের জ্ব্লবে দাহন...............।।

Saturday, March 7, 2015

রাজবন্দি ভালবাসি তোমাকে


সময় চলেছে নদীর স্রোতের মত মহাকালের পথে
একদিন সব কিছু নিয়ে হারাবে অন্ধকার মহাশূন্যে
আমারও মন ছুটে চলে অজানা পথে সময় দেখে দেখে
থেমে থাকেনি হাত ঘড়িটা যা দিয়েছিলে ভালবেসে
তাজা গোলাপের পাপড়িগুলো ঝরে পরেছে সময়ে
ঝরে পরেছে একটা একটা করে ইটা সখের দালানের
বেড়ে উঠেছে আঁকাবাকা ফাটলের ফাঙ্গাসগুলো তাতে
আমি চেয়ে থাকি সময়ের বিলীন হওয়া ঘরটা দেখে
সোনারাঙ্গা রোদের ঝিলিকে কপালের কুনে ঘাম ঝরে,
ঝরে পড়েছে ভোরের সব শিশিরকণা হৃদয় উঠুন বেয়ে
সূর্য্যটাও অপেক্ষা করে সময়কে চিনিনা অন্ধ প্রেমের মোহে
চাঁদের আলো দেখিনা যদি সময় যায় জীবন থেকে ফুরিয়ে
রাত এল পরিপাটি কিছু স্বপ্ন নিয়ে ঘুম পালানোর নেশায়
স্বপ্নগুলো পথ চেয়ে থাকেনি বাস্তবতার কঠিন কিছু প্রশ্নে
চিঠিগুলো ঠিকই পৌঁছেছে তোমার ঠিকানায় জেল ঘরে
উত্তর নিয়ে এলোনা শুধু রানার তুমি লিখনি কিছু আমাকে
কপাটদুটো আজও বন্ধ রাজবন্দীর ভালবাসার অপেক্ষায়
দক্ষিণা জানালাটার খুলে চেয়ে থাকি এক পলকে সেই পথে
অপেক্ষা করেছি আমি মুক্ত দেশ চাও তুমি , চাও না আমাকে
জানিনা,এ অপেক্ষার শেষ কোথায় রাজবন্দি।ভালবাসি তোমাকে

নারী দিবস ৮ই মার্চ ২০১৫

আমার সকল ফেইস বুক বন্ধু কে নারী দিবসের লাল গোলাপের শুভেচ্ছা ও ভালবাসা


বৃষ্টি নামছে


খুব ভাল লাগা কেউ দরজায় কড়া নাড়ছে,
বাঁশির ছন্দ সুরে আকস্মিক নাম ধরে ডাকছে
ফুলেরা সব হাসছে, গাছের পাতা নৃত্য করছে,
মুক্ত বাতাসের আনন্দে যেন ভরে উঠেছে ভুবন,
প্রতিক্ষা করছে আমার মন ও আখি বৃষ্টির জন্য ।

ময়ুরের নৃত্য,পালাক্রমে পাখিদের প্রনয়ী,
আকাশে বুক কালো মেঘে আজ অন্ধকারাছন্ন
সর্বত্র যে অন্ধকারে ছেঁয়ে যাচ্ছে তার আগমনে
বিষন্নতায় ভরেছে যে মন বৃষ্টির আগমণে
ক্রমবর্ধমান ব্যাথার যে অন্ধকারে ছেঁয়ে যাচ্ছে।
ঐ দুরে উড়ন্ত পালকের মত মেঘমালা,
বরফ চুম্বনের প্রেমের স্বপ্নে যেন জেগে উঠেছে,
প্রকৃতির বৃষ্টির সৌন্দর্য্যে অতীতের ভুলিয়ে দিয়ে,
বাসনার উষ্ণতা অনুভুতিতে আলিঙ্গন করছে
এ যেন হৃদয়ের মাঝে হাজার বছর ঝরে পরছে ।
শীতল ভেজা গায়ে দরজায় কড়া নাড়ছে,
মেঘের ফাঁকেই আকাশের নিস্তেজ আলো
অবশিষ্ট প্রেমের স্বপ্নে যেন জেগে উঠেছে,
অতীতের স্মৃতিকে মনে করিয়ে দিয়ে,
গভীরতম হৃদয়ের সুখ পূর্ণতায় বৃষ্টি নামছে ।

Thursday, March 5, 2015

আমি তুমি আর বৃষ্টি

যদি তুমি মেঘ বৃষ্টি হয়ে ঝরে পরো
মেঘলা আকাশ সূর্যের লুকোচরি খেলা
হঠাৎ এক পশলা বৃষ্টি তুমি বয়ে যাও
ক্লান্ত শরীর ছুয়ে আমার সারা বেলা বৃষ্টি !!!!
এলোমেলো পথ ভাবনা গুলো হাওয়ায় উড়িয়ে
নগ্ন দুটি পায় ভেজা মেঠো পথ আর দুটি নুপুর
ভেজা চুলের ফাকে ঝাপসা চোখে দেখব বৃষটিরধারা
ঠুংঠাং রিকশার ধ্বণি আকাশের গুম গুম ডাক বিজলী
রিনিঝিনি চূড়ির সূরে হেটে যাব দূরে বহুদরে একাকী
মাতাল হয়ে আমি নাচবো নীল ফিতায় দু বেণী ধরে
ছল ছল বৃষ্টির পানি আর ধিন ধিন তা তা থই থই নাচ
কাঁদা জলে নুপুরের শব্দে তুমি মেঘ বৃষ্টি হয়ে এসো
আমার স্বপ্ন বৃষ্টি তুমি আকাশ থেকে নেমে এসো !!!
আমার স্বপ্ন পুরুষ একটা কদম ফুল দিও তো!!
ভেজা নিঃশ্বদ পায়ে এসো কাকভেজা হয়ে এ পথে
তোমার দুচোখে রেখ নিস্বার্থ ভালবাসায় আমার হাতে
যেখানে দেনা পাওনার হিসেব অর্থহীন সব স্বার্থপরতা !!!
সব কষ্টভুলে বৃষ্টির বারতায় শুদ্ধ হব সেদিন তামার সাথে
আহ্‌ কতইনা ভাল হবে আমি তুমি আর বৃষ্টি একসাথে
এমন বর্ষায় বিলিন হব যেদিন আমি তোমাকে পেয়ে !!
সিলেটAdd caption

Wednesday, March 4, 2015

বৃষ্টির কদম ফুল ও নয়ন........................(ছোট গল্প)


কেয়ানুর  হাই স্কুলে  পড়ে । গ্রামের কাচা রাস্তা বর্ষা কালে খুব কষ্ট জলে কাঁদা রাস্তা একাকার কিন্তু তার স্কুলে খুব ভাল লাগে । সময়টা ১৯৮৩ সাল খুব বৃষ্টি সকাল থেকে কিন্তু তার স্কুলে যেতে হবে কারন সামনে ফাইনাল অংক আর ইংলিশ মিস করা যাবে না । তারা তিন বোন এক ভাই । দুই বোনের বিয়ে হয়ে গেছে এক বছর । মেজু দুলাভাই এর ছোট ভাই আমার চেয়ে  চার ক্লাস নিচে পড়ে। এবার সে বৃত্তি পরীক্ষা দিবে । ওদের  গ্রামে থেকে প্রতিদিন দু মাইল রাস্তা সে হেটে আমার কাছে পড়তে আসে । ওরা তিন ভাই  ওর নাম নয়ন । সকালে আসে আমার সাথে পড়ে একসাথে স্কুলে যাই । দু জনের কত কথা । আস্তে আস্তে ওর সাথে আমার একটা মনের দারুন সখ্যতা হয়ে যায় । ছোট মানুষ কিন্তু আমার জন্য তার কত কি । কাঁঠালে মুচি আনবে ভর্তা বানাতে । কলা পাতার বাসি বাজাবে স্কুলে যেতে । কারো বাড়ি থেকে ফুল আনবে আমার জন্য । একদিন আমি বললাম নয়ন কোথাও কদম ফুল নাই , ও মা পরের দিন নিয়া হাজির । কদম ফুল আমার খুব প্রিয় । যত দিন গাছে ফুল থাকবে নয়ন আনবে ফুল আমার জন্য । বর্ষা কাল আর নয়নের কদম ফুল যেন এক সূতায় বাঁধা আমার মনের ফ্রেমে । সময় গড়িয়ে আমি স্বামীর ঘরে ।
একদিন খবর পেলাম যে নয়ন নৌকা ডুবে মারা গেছে আমার কান্না দেখে আমার স্বামী বলল অবাক এত কাদছ কেন ওর জন্য !! আমাকে নিয়ে গেল মেজ দিদির বাড়িতে তিন দিন পরে ।
নয়নের ঘরে আমি কাঁদতে লাগলাম আরও জুরে । এই ছোট ছেলেটা সারা দিন বুবু,বুবু করে আমাকে কত জালাত ।
আজ ২০০১ সাল এখন আমি ঢাকায় । আমার ছেলে এখন ক্লাস নাইন এ পড়ে । সকাল থেকে খুব বৃষ্টি আষাঢ় শেষ হবে হবে অল্প দিনের মধ্য হটাত আমার কদম ফুল দেখতে ইচ্ছা করছে । স্বামী কে ফোন করে বললাম আমার জন্য পারলে কয়েকটা কদম ফুল নিয়ে এসো । ও শুনে খুব হাসল আর বলল ম্যাডাম সরি চেষ্টা করব । ছেলে কে বললাম । ছেলে একটু হেসে ,ও মা তুমি যে কি বল।  আমি কোথায় পাব ?
কয়দিন বৃষ্টি আর বৃষ্টি কদম ফুলের সাথে নয়নের জন্য  কষ্ট লাগছে । আজ নয়ন বেঁচে থাকলে ও আমার জন্য কদম ফুল নিয়ে আসতোই ।
আজ শুক্র বার  বিকেল তিনটা এখনো বৃষ্টি হচ্ছে ।আমার ছেলে স্বামী ক্রিকেট খেলা দেখছে । আমি খুব হারানো দিনের গান শুনছি । হটাত একটা কনিং বেল । আমি বললাম দেখত বাবা কে এলো । ছেলে দরজা খুলে কেউ না মা বলে দরজা বন্ধ করে চলে এলো । এবার আবার কলিং বেল । আমি বললাম ভালো করে দেখত এই বৃষ্টি মধ্য কে এলো । ছেলে বলল,মা কাউকে  দেখা যায় না , কেউ নেই । আমি উঠে দরজার কাছে এলাম।না কেউ নাই কিন্তু সিঁড়ির দিকে চেয়ে আমি অবাক অনেক গুলো কদম ফুল । আমি একটা একটা করে সব গুলো হাতে নিলাম । আমার ছেলে মা কে দিল । আমি বললাম দেখছ না এখনো পাতা গুলো ভিজা ।
আমি ফুল গুলো বুকে জরিয়ে ধরলাম একটা দীর্ঘ নিশ্বাসে । আসে পাশে কাউকে দেখছি না । ফুল গুলো নিয়ে আমি বৃষ্টি মধ্য ছাদে গেলাম । সাথে আমার স্বামী ও ছেলে আমার চোখ দিয়ে পানি পরছে । বৃষ্টির পানি আমার চোখের জল একসাথে একাকার । জানি না ফুল গুলো কে দিয়েছে কিন্তু ফুল গুলো দিয়ে আমি সেই ছোট নয়ন কে দেখতে পাচ্ছি । যেন আমি আর নয়ন বৃষ্টি মধ্য কাঁদা মাখা পথে আবার আমার সেই গ্রামের পথ দিয়ে কদম ফুল হাতে  হাঁটছি।

Monday, March 2, 2015

যা কখনই ছিল না

যা কখনই ছিল না

তোমার যেটা কখনই ছিল না, সেটা নিয়ে ভেবনা
ভবিষ্যতে থাকবে না এমন টা ভেবেই সামনে যাও,
যা ছিল সেটার জন্য নাই বা সময় নষ্ট করলে আজ ।
তোমার যা আছে সেটার মধ্যে নিজেকে আবিষ্কার কর।
দেখবে তোমার সব আছে, ভালবাস প্রকৃতি ও শিশু কে
চারপাশে সবকিছু আছে একটা বই কিনো পড় উপহার দাও
কোথাও অপূর্ণতা নেই কিছু নিয়ে আসো নাই হারানোর ও নাই
নিজেকে পরিপূর্ণ ভাব, আকাশ বাতাস নদীর আর গাছ দেখ
যদিও সবারই অপূর্ণতা থাকে তাতেও না পাওয়ার সুখ থাকে
অপরদিকে এমন কিছু পেয়েছ যা অন্য কারো নাই ! তা নাই
যা একমাত্র তুমি নিজেই খুজে পেতে পার তোমার অন্তরে
কেউ তোমাকে খুজে দেখাতে পারবে না যা আছে সেই হৃদয়ে।
নিজে আগেও পরিপূর্ণ ছিলে কিন্তু মনের গভীরে তা দেখ নাই
কিন্তু তোমার শিক্ষা এবং জানার গভীরতা কম ছিল হয়তও।
এখন তোমার যেটুকু আছে সেটা খাটি সোনার চেয়ে খাঁটি ।
সেটার কখনও ক্ষয় হবে না বরং তার উজ্জলতা বৃদ্ধি পাবে।

মৌন মায়া


একদিন তুমি আমাকে চেয়েছিলে তোমার আঙিনায়
আমিও চেয়েছিলাম তোমার কাছাকাছি আসতে
সব অতীত ভুলে বর্তমানকে বাঁধতে শক্ত বাঁধনে ।
সময়ের পরিক্রমার তুমি কোথা গেলে জানি না
আমি পড়ে রইলাম না অন্ধকার না আলোর মাঝে
তোমার ছোঁয়া বুক পিঞ্জরে জ্বলে সাঁঝে আশাতে ।
কি করে ভুলেছো তোমার পুরানো দিনগুলি কথা
ওরা কি আসে না কখনও হৃদয়ে দ্বীপ শিখা নিয়ে
জীবনের আঁকা বাঁকা ঢেউয়ে ছড়াতে বকুলের মালায় ?
আমাকে দিয়েছে উপহার- পেছনের সেই দিন গুলি মায়া
আজি আঁচর কেটে হৃদয়ে আনে নিরাশা,হতাশা,বেদনা
রাখিয়া গেছে জীবনের বাকে আলেয়ার আলো খানি!!
সবকিছু কেমনে ভুলে সময়ের পরিক্রমার তুমি ! আর
আমি পারিনি কোন কিছুই ভুলিতে হৃদয় কুটিরে
তবু কিছু স্বপ্ন আজ বুকে টেনে নেয় আগের মতো করে।
দু’ হাত বারিয়েছি- তুমি হাত দু’ টি ধর আপন করে
আমারে তুমি বুকে টেনে নাও- অনুরাগে ভালবেসে
অতীতের সব কিছু- জ্বালাও বর্তমানে প্রদীপ জ্বেলে।
দু’ জনার ছোঁয়ায় বাজিয়া উঠুক দুরন্ত স্বপ্ন গুলো আবিরে
দু’ জনার দৃষ্টি দু’ জনার চোখে কী জানি হয় এই পলকে
প্রেমে অতীত সব কিছু শুধু মৌন হিলোলে খেলা করে ।

Sunday, March 1, 2015

আমাকেও পুড়তে হবে



সোনাকে পুড়িয়ে খাঁটি সোনা করা হয় সোনার জন্য,
তবে জীবন কে কেন পুড়িয়ে খাটি করব না জীবনের জন্য?
আমি স্পষ্ট বুঝতে পেরছি যে আমাকেও পুড়তে হবে
মানুষ জীবন না পুড়ে সে বুঝবে কি খাঁটি মানুষ কি?
আমাকে পুড়াতে হবে আমার মনের কালিমা থেকে 
পুড়াতে হবে মনের ঘরের বসত করা আমার কুসংস্কার,
না জানার আকাঙ্খা, অলসতা , ভয় আর কান কথা থেকে !
অজ্ঞতা পুড়ে পুড়ে সমাজ জাতি পারিবারের ধর্ম যায় ডুবে
ভাবনাহীন জীবন সবকিছুকে ধ্বংস করে অজ্ঞতায় পুড়ে ।
আবার নতুন ভাবনা, নতুন করে বাঁচা ,নতুন একটি সূর্য দেখা
চিন্তা জীবনকে নতুন করে দেখার লালিত মনের স্বপ্ন বাসনা
আস্তে আস্তে জেগে উঠতে চাই সমীরণের আলোর মেলায় ।
এখন অনুভব করে শিখেছি জীবন মানে শুধু গৎ বাধা পুথি না
এক ঘেয়ে কাজের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকার নাম জীবন না ! না
জীবনকে জানতে হলে ,অনুভব করতে হলে, বুঝতে হলে
নিজেকে না পুড়িয়ে জীবনের অর্থ খোজা কখনো যাবে না।
আমি যাকে যে কথায় ভাসায় অনুভূতি বোঝাতে চেয়েছি ,
নিজের অজ্ঞতার জন্য সে কথা বোঝাতে পারিনি হয়ত!!!
এইমুহুর্তে মনে হচ্ছে নিজে পুড়ে ছাই করে দেখি কি আছে
আমার মন শরীর আত্মা আর বিশ্বাসের সেই মন সমুদ্রে 
শুধু আসল আমিটুকু বেচে থাকবে আমার নিজের মাঝে ।
যেটা কেউ কোনদিন জানবে না, দেখবে না, বুঝবে না
বলারও প্রয়োজন হবে না আমি, কে! কি? কিসের পরিচয়?
একমাত্র নিজের অমূল্য রত্নটুকু নিজের কাছে বন্দী করে রাখব।
যেটা কেউ কোনদিন শত চেষ্টাতেও পেতে পারে না, নিতে পারবে না
আমি তা পেয়েছি। এটা আমার কাছে পরম পাওয়া এবং আত্বতৃপ্তি।
তবে এই পুড়িয়ে খাঁটি যে টুকু থাকবে! তা পথ হারা নাবিকের ঠিকানা.........।।

              

পথচলা নিয়মের ভুলে

পথচলা নিয়মের ভুলে
সারারাত বিবেকের সাথে করি যুদ্ধ
কিছুটা স্বপ্ন আর কিছুটা বাস্তবতা নিয়ে
সকালটা কাটে ঘুমন্ত আর ক্লান্ত শরীর নিয়ে
এ পাশ ওপাশ করে একাকী সাদা বিছানায়
ভোরের সূর্যের মেলেনা দেখা আমার জানালায়
মকমলের পরতে ঢাকা দখিনা সবুজ জানালা
একটু একটু রোদ দেয় যখন উঁকি
আমি সব কিছু ভুলে আবার জেগে উঠি
আমি আড়মোড়া ভেঙ্গে উঠি
ভুলে যাই আমার স্বপ্ন আর যুদ্দের সেই কথা
শুরু হয় আমার পথ চলা,
চাল ডাল তেল নুন আদা রসুন পেয়াজের সংসার
অলস মনটা কখনও দাড়িয়ে বারান্দায়
অথবা তোমার দেয়া বই গুলোর সাথে
দুপুরটা যে কত ব্যস্ততা
আর সীমাহীন কাজের মধ্য কিছু ভাবনার খেলা
জানিনা মন থাকে কোথায় এমন করে কেটে যায়
ভাবনার বয়ে চলা ঘড়ির শব্দে সময়ের বেলা
বিকেলটা এলেই চায়ের পেয়ালা
বনসাই এর পাসে বসে শুধু অপেক্ষা অজানা ।
জীবন থেকে চলে যায় জীবন নামের সময়

আমি চলি মৃত্যু কে কাছে ডাকতে
অপেক্ষা ঘুম নামার প্রতিদিনই ভাবি বদলাব,
জীবনটা যন্ত্র আমিতো নই
পরদিন এলে আবার সেই চিরচেনা রুটিন
আবার সেই একই পথচলা নিয়মের ভুলে !!!