Saturday, February 28, 2015

আমি ও আমি






প্রিয় বাংলাদেশ কেমন আছো তুমি?


আমি জানি, তুমি ভালো নেই। চোর ডাকাত সিঁদ কেটেছে তোমার ঘরে ।এখন তোমার
আঁচল ধরে টানে । নিতে চায় তোমায় পরাধীনতার কোন অন্ধকার মরু বালু চরে ।
তারপরেও জিজ্ঞেস করলাম৷ প্রিয় বাংলাদেশ কেমন আছো তুমি? আমি যে ভালবাসি তোমাকে । তোমার ঘ্রানে আমার জীবন মিশে আছে । আমি যে এই ঘ্রানে বাঁচি !
কেনো জানি তোমাকে জিজ্ঞেস করতে ইচ্ছে হলো । মন যে কাঁদে তোমার মায়াতে ।
কেনো জানি তোমাকে নিয়ে ইদানীং খুব বেশি মনটা ভাবছে? আর নিশিতে কাঁদছে ।
কেনো জানি মনে হচ্ছে তোমার গায়ে কেউ পরাতে চায় স্বার্থের নীল নকশা কাঁথা ।
তোমার ভূমিকা কি শুধু চুপ করে মরার মত লাশ হয়ে পড়ে থাকা? বিরান ভুমিতে ।
কারা তোমার জন্য শরীরের রক্ত দিয়েছিল বীরের বেশে। সবুজ ভুমি করে ছিল রক্তে লাল। কত নারী হয়ে ছিল বিধবা আর ধর্ষিতা । কিছু বল আমার প্রিয় বাংলাদেশ?
কারা লুকিয়ে ছিলো পরদেশে ?কিছু না করে স্বার্থের কারণে? বাংলাদেশ তুমি বল?
বুঝেও কি চুপ করে আছো আজও কয়েকটা বছর ধরে? বাংলাদেশ? বাংলাদেশ?
যে যেভাবে পারবে তোমাকে করবে লাঞ্ছনা । করে যেতে থাকবে তোমাকে বঞ্ছনা ?
তোমার বুকে লুটিয়ে পরবে শান্তি প্রিয় যুবকের রক্ত মাখা লাশ ? বল বাংলাদেশ ?
আগুনে পুড়বে পিতা কন্যা একসাথে ? মেধাবি যুবক লাশ হবে ক্রাস ফায়ারে ?
মুক্ত মনের কিছু মানুষ বলি হবে হাজার সন্তানের সামনে ? কিছু বল বাংলাদেশ ?
আর মুখটাকে তুমি করে রাখবে কি অন্ধকারে আড়াল করে? হে বাংলাদশ
তুমি কী সত্যি লক্ষ শহীদের রক্তের মধ্য জন্ম নেয়া সেই গর্জে উঠা বাংলাদেশ?
আচ্ছা তুমি কি আমাকে নিয়ে ভাবো? কেমন আছি আমি?জানি,তুমি আমাকে নিয়ে ভাবো না! কারণ,আমাকে নিয়ে তোমার ভাবার মতো সময় নেই৷
আমিও তোমার মতো ভালো নেই৷ বাংলাদেশ !ভালো হয়ে উঠো তাড়াতাড়ি সেই কামনাই করি৷ আমার প্রিয় বাংলাদেশ

ইতি
তোমার সন্তান

Friday, February 27, 2015

হত্যা খুন আর আমারা


আমারা প্রতিদিন কোন না কোন ভাবে খুন হচ্ছি ?
মরণ আসার আগেই আমারা মরছি ।
আমাদের স্বাভাবিক মরার কোন অধিকার কার নাই ।
কিছু মানুষ জন্ম নিয়ার আগেই মায়ের গর্ভে তাকে হত্যা করা হচ্ছে !
কেউ কেউ হত্যা হচ্ছে রাস্তায় গাড়ির চাকায় , কাউকে ফেলে দিচ্ছে হেলপার ।
জমির কাগজের দন্দে কত খুন হত্যা হয় বাংলার গ্রাম থেকে শহরে ।
চর থেকে শহরে জমির জন্য কত খুন দেখি কাগজের পাতায় ।
চাঁদার জন্য খুন । টাকার জন্য খুন । তথ্যের জন্য সাংবাদিক খুন ।
নেতার জন্য কত মায়ের ছেলে খুন । ধর্মের নামে মানুষ খুন ।
লিখার জন্য খুন । পড়ার জন্য খুন । দেখার জন্য খুন ।
অধিকারের জন্য খুন । স্বাধিকারের জন্য খুন।
ভালবাসার জন্য খুন । নেশার জন্য খুন ।
ক্ষমতার পাওয়ার জন্য খুন ।
ক্ষমতায় থাকর জন্য খুন ।
পরকীয়ার জন্য খুন ।
যে কোন কারনে আত্ম হত্যা একটা খুন ।
মিটিং মিছিলে খুন । হরতালে খুন । লঞ্চ ডুবি সেটাও কিন্তু খুন ।
তদন্তে বিচার না হওয়া একটা ফাইল ও খুন ।
কে করবে কার স্বার্থে এত হাজার লক্ষ খুনের বিচার
স্বাধীনতার পর থেকে কত খুনের বিচার আদালতের বারান্দায় নীরবে কাঁদে

অনু গল্প ........................ টেলি ম্যারিজ



ছেলে প্রবাসি দুবাই থাকে  প্রায় ১০ বছর । ইতিমধ্যে পরিবারের আর্থিক অবস্থা ভাল পরিবর্ত হয়েছে। ছেলে দেশে আসবে আসবে করে আসে না । মা ছেলে কে দেখতে চায় কিন্তু ছেলে আসে না । একদিন এক প্রতিবেশী বলল শুন সজলের মা সজল কে বিয়ে দাও । এটা কেমন কথা ছেলে বিদেশে তাকে বিয়ে করাব কেমনে ।
কি যে বল সজলের মা ? এখন কি দুনিয়া আগের মত আছে । ঐ যে আমাদের পাশের গ্রামের রমিজের বিয়া হইল মোবাইল ফোনে ।
কি  কউ ? এটা কি সম্ভব ।
হা তুমি সজলের বাপের সাথে আলাপ কর , একটা সুন্দর মেয়ে দেখে বিয়া দাও। তখন দেখবা ঠিকেই নতুন বউয়ের টানে পোলা দেশে আসবো।
সজলের বাবা কথা শুনেই মেয়ে দেখতে শুরু করল । ছেলেও রাজি হল বিয়ে করতে ।
অনেক দেখা পর মেয়ে পাওয়া গেল । মেয়ের বাড়ির সবাই রাজি । দিন তারিখ ঠিক হয়ে সজলের সাথে পরী বেগমের মোবাইলে বিয়ে হল ।
মাঝে মাঝে সজল ফোন করে ।  টেলি ফোনে মান অভিমানে কেটে যায় কত বেলা ।
সজলের বন্ধু একদিন সজল কে বলে  বন্ধু না বলে একদিন দেশে যাও খুব মজা হবে ।
সবাইকে চমকে দাও ।সোজা শ্বশুরের বাড়ি । বউ দেখবে মেকাপ ছড়া। এটারমজাটা একদম ভিন্ন রকম ।
সজল ফোন করে পরী কে বলল তিন মাস পরে দেশে আসবে । দুই পরিবারেই খুব খুশি কিন্তু  সজল সেই দিনেই বিমানে দেশে  চলে আসে ।
সজল রাত ১১ টায় থানা শহরে নেমে তার বন্ধুর বাড়িতে উঠে । রাত বার টায় সে গ্রামের রাস্তা দিয়া চাঁদের আলোতে পরীদের বাড়ি দিকে হাটা শুরু করে । আনুমানিক রাত একটায় সে দেখল যে পরীদের বাড়ির সামনে  সে ।  গেইটে বড় করে লেখা তালুকদার বাড়ি । সে খুব চুপ চুপ করে বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করতে ছিল ঠিক তখনেই বাড়ির কেউ চীৎকার করল চোর চোর চোর । আর যায় কোথায় । সবাই চীৎকার চোর চোর চোর । চোর ধরে বাড়ির সবাই উত্তম মধ্যম দেয়া শুরু করল । কেউ তার কথা শুনছে না । হাত পা মুখ বেধে গাছের সাথে বাঁধল । যে যেভাবে পারছে চর লাথি মারছে । বাড়ির মুরুব্বি এসে বলল ঐ তোরা থাম আগে পরিচয় জেনে নেই । মুখ খুললে সে কাঁদতে কাঁদতে বলল । আমি দুবাই থেকে আসছি ।আমার নাম সজল , আমি পরীর স্বামী ...........................................................................

Sunday, February 22, 2015

অন্য জীবন থেকে নেয়া আড়াই টা অনু গল্প


এক..................... হাসপাতালে স্বামী স্ত্রী এলো ডাক্তার দেখাতে তাদের সন্তান নাই । ডাক্তার সব ধরনের টেস্ট করে স্বামী ও স্ত্রী কে মেডিসিন দিল । আমি রিপোর্ট ভাল করে দেখলাম তাতে মেডিক্যাল সাইন্স এ স্বামীর পক্ষে পিতা হওয়া সম্ভব না । তারা দু জন প্রায় দু বছর ডাক্তারের চিকিৎসা করালেন । তিন বছর পর আমি অন্য হাসপাতালে কর্মরত ছিলাম এমন সময় একজন মহিলা তার বেবি কে নিয়ে এলো টীকা দিতে, আমি চিনলাম ওনাকে, সালাম দিলাম, বললাম বেবিটা কে , স্বামী স্ত্রী দু জনেই একগাল হেসে আল্লাহ দিয়েছে । আমি শুনে খুসিই হলাম । কারন পুরুষ লোকটি পিতা হতে না পারলেও স্ত্রী লোকটি মা হতে পারবেন ।
দুই............... একদিন সেই ভদ্র লোক অন্য একজন মহিলা নিয়া হাসপাতালে আসলেন আমি তখন পর্বের হাসপাতালে আবার ফিরে এসেছি । ভদ্র লোক আমাকে চিনে ফেলে খুব ভয়ই পেল। যেহেতু আমি তার স্ত্রী কে চিনি । আমি তাকে নির্ভয় দিয়ে মহিলার চিকিৎসার ব্যবস্থা করলাম । এম আর শেষ হবার পর আমি সেই মহিলাকে বললাম একটা সত্য কথা বলবেন ? মহিলা কে আমি বললাম যে আই লোকের পক্ষে পিতা হওয়া সম্ভব না। তাহালে কি করে আপনি প্রেগন্যান্ট হলেন ।
মহিলা বলল , বাচ্চাটা আমার স্বামীর কিন্তু আমার আরও দুইটা মেয়ে আছে স্বামী শুনলে খুব রাগ করবে আমি পিল খেতে ভুলে গিয়ে ছিলাম । এই ভদ্র লোকের সাথে আমার একটা সম্পর্কও আছে । আমাকে খুব পছন্দ করে ।আমি তার সাথেও মাঝে মাঝে থাকি । তাই তার ভুল বলে চিকিৎসাটা তার খরছে করালাম ।
আরাই.................................বছর তিনেক পরে ঐ ভদ্রলোক এলো আবার তার মিসেস প্রেগন্যান্ট তাই ডাক্তার দেখতে খুব হাসি খুসি আমি দু জনের কাছেই খুব ভাল । ডাক্তার দেখালাম সব ধরনের টেস্ট করা হল , আলট্রা সনোগ্রাম দেখে তারা খুব খুসি ডাক্তার সাহেব কোন ফি নিলনা কারন খুব পুরাতন রোগী । আমি একটা জরুরী ফাইল আনতে ডাক্তারের রুমে গেলাম ।রোগীর স্বামী তখন বাহিরে ডাক্তার রোগীর নাক ধরে বলল তুমি বড্ড লাকি!! আমি দেখে না দেখার ভান করে ফাইল নিয়ে চলে এলাম । ডাক্তার সাহেবের স্ত্রীর সাথে আমার খুব ভাব। ডাক্তার তাঁর রুমে আমাকে ডাকল । আমি যেতেই শে দরজাটা বন্ধ করে আমার পা জরিয়ে বলল আমার সংসার বোন তোমার হাতে তুমি তো জান !! আমাকে মাপ কর। আমি যা জানতে চাই নাই তাই জানলাম......................................................

Saturday, February 21, 2015

একটি শব্দ ভালবাসা


একটি শব্দ যাকে আমি চিনতাম না কোন দিন
একটি সাদা কাগজে কুড়িয়ে পালাম একদিন
শব্দের ভিতরে লুকিয়ে ছিল শব্দের না জানা জীবন
আমি জানতেও চাইনি এ শব্দের অর্থটা আসলে কি?

শব্দটা কিছু কিছু শব্দের সাথে মিশে প্রায় আসে কাছে
কি হবে শব্দটার অর্থ জেনে , থাক না পরে আছে যেখানে
সময়ের কঠিন নিয়মে শব্দটা হারায় জীবন থেকে একাকী
আমিও ভুলে যাই সাদা কাগজের সেই শব্দটাকে অজান্তে ।
কিছু কিছু শব্দ আমাকে কাদায় কখনো আবার হাসায় হৃদয়ে
কিশোরীর দু বেণী ছেরে কেবল খোঁপা বেধেছি দীঘল কালো চুলে
বাগানের বেলি ফুলটাও গন্ধ বিলায় আমার চোখে, চোখ মিলিয়ে
বিকেলটা তখন বড্ড বেখেয়ালি সাথি সখি সব একটু কানাকানি।
জীবন মানে মায়ের বকুনি বাবার আদর বৃষ্টিতে ভিজে সর্দি জ্বর
লাল নীল সাদা কালো আকাশী আর বাহারি রঙের জামা কাপড়
ডাইরিতে কিছু কিছু মন মাতানো ছন্দ কবিতা আর মায়ের গান
আর একদিন মেঘলা দিনে গল্পের বইয়ের পাতায় হারানো শব্দ !!
ঘুম আসেনি সারা রাত এপাশ ওপাশ আর শব্দটার কি চীৎকার?
শব্দটা বলে আমাকে আমাকে ফিরিয়ে দাও আমার হারানো কাল
আমি আজ বেলি ফুল খোঁপায় পরে রেশমি চুরি মেহেদী রাঙা হাতে
শব্দটার অর্থটা খোঁজে পেলাম ভালবাসা নামে হলুদ খামের ভিতরে।

একা নিঝুপ দ্বীপে



সেদিন রাখাল চুপি চুপি এসে বাঁশি নিয়ে হাজির হয়েছিল
বিকেল শেষ এখনো সন্ধ্যা নামেনেই চেনা-অচেনা আঙিনায়
দখিনা বাতাসে বুঝতে পারছিলো ফাগুন বুঝি বয়ে যায় মনে,
কৃষ্ণচূড়ার শাখে চোখ পড়ছিল আমার রাখাল বন্ধু অরণ্যের
চিকন পাতার ভাঁজে লুকোনো ছিল ভালবাসার লাল আবির!

কেবল বুঝতে পারে পাখি নদী শ্যামল ছায়া বয়ে আর সাদা মেঘ
জাফ লং

বসন্তের ভরা বাগানে চাঁদের প্রেমে উতলা হওয়া রাখালের শুরে
মকুল কচিপাতা বাতাস ঘিরে ধরে মাতাল প্রহরের বাঁশীর ছন্দে
শিমুলের ডানায় কোকিল অপ্সরী অপলক নয়নে তাকিয়ে থাকে
আমি ঘুমে ঘমে শিমুল বনে রাখালের হাত ধরে হাটি চৈতি বসন্তে ।

এতো কবিতা, এতো গান, এতো সুর,এই যে এতো কিছু জীবনে,
চৈতি হাওয়ার প্রতিদিনই রাঙিয়ে দিয়ে যায় কোনো না কোনো
বাসর রাতের অচেনা আঙিনায় বধূর ফুলে ফুলে বসন্তের প্রহর
কেবল আমি একলা বসে থাকি,সাথে বসে থাকে বিরান প্রহর
তারও দিন যায়,মাস যায়, বছর যায় পদ্মা তিস্তা চৈতি খা খাঁ ।

আবার ফাগুন ফিরে আসে চুপি চুপি বাঁশি নিয়ে রাখালের সুরে সুরে
অন্ধকার কুড়ের ঘরে এক কোণে অবহেলে পরে থাকে আমার বসন্ত
কতো ফাগুন আসে, কতো ফাগুন বাতাসে ভাসে নিল আকাশের দেশে ,
সব পাখি খুঁজে পায় নীড়, কতো পায়রা উড়ে মনে বদ্বীপে ভুল পথে
কেবল কেউ কোনো দিন আমার কোনো খোঁজ রাখে না নিঝুপ দ্বীপে !!

Monday, February 16, 2015

জন্ম মুক্তি পেতে


ঘুম সেকি জিনিস আমি ভুলে গেছি অপেক্ষার তুষারের চাদরে 
আমি আর আমার ক্লান্ত ছায়ার  নিশ্চুপ দাঁড়িয়ে নেই এ পথে ।
অপেক্ষার  দীর্ঘ পথ পাড়ি দেবার জন্য কিছু বেওয়ারিশ স্বপ্ন নিয়ে 
প্রিয়াসু আরেকটু অপেক্ষা করো আমি আসছি তোমার চেনা পথে।
এখনও হাঁটছি আমি মনের জুরে তোমারই চলে যাওয়া পথ ধরে ধরে ।
আমি ভীত আমি ক্লান্ত, ক্রমশঃ মনের অমিল অত্যাচারে জর্জরিত
একটু একটু কষ্ট  প্রতিদিন জমে উঠে মৃত্যুর স্বাদ নিয়ে পাঁজরে
তোমার পথ যেন  তোমারই মত মরিচীকা অদূরে রোদের প্রখর
আরেকটু অপেক্ষা তুমি করো সময়ের তীরে আমি পথ হারা প্রেমী
আমি টলোমলো পায়ে, এখনও ফিরছি কেবল তোমারই দিকে
দীর্ঘ সময় আর জীবন পথ ধরে হাঁটছি তোমার দেখানো পথ ধরে
যতবার নিজেকে করতে চেয়েছি শেষ ততবার তোমার স্বপ্ন আঁধারে
টুকরো টুকরো স্বপ্ন খেয়েছি নিজেকে বাঁচাতে তোমার জন্য ব্যাকুল মনে
উঠানের প্রহরী কুকুর আর সমাজের মাংসাশী পশুর দল লাল চোখে
আমাকে শাসিয়েছে অনেক যেন ভুলেও আমি পা না বারাই ঐ পথে
তবুও সাহস নিয়ে প্রবেশ করেছি তোমার ভালবাসর গভীর অরণ্যে
প্রিয়াসু ঐ চাঁদের আলো ছাড়া অন্ধকার রাতে কেউ ছিল না সাথে
সাইড ব্যাগে  রয়ে যাওয়া তোমার শেষ চিঠিটা ছিল আমার সাথে
একটু একটু পড়েছি আর ধুয়ে গেছো শরীরে জমে উঠা অবহেলার দাগ
প্রিয়াসু তোমার জন্য সব কষ্টকে মনে ভিতর আমি দিয়েছি ফাঁসির আদেশ
ঝাপসা দৃষ্টি দিয়ে কত যে কঠিন পথ খুঁজে চলা তুষার আর তুষারের ভুমি
যত দূর চোখের সীমানা যায় সাদা চাঁদর যেন ক্রমশ বাড়ে তোমার সমীপে
নিজেকে বলি, যদি হয়ে যায় দেরি আচমকা ঢলে পড়া ঘুমে তবে কি হবে
তুমি আরেকটু এগিয়ে এসে আমার পথে যে পথ তুমি রেখে গেছ পথ ভুলে
দেখবে, আবারও হাঁটছি আমি তোমারই দিকে ঘুম  ঘুম সেই কাজল চোখে
প্রিয়াসু  তুমি কি বেঁচে আছো আমার পৃথিবীতে এত এত মৃত্যু চারিদিকে
অসংখ্য  নর নারীরা শান্তিপ্রিয় মানুষ পুড়ে আর গুলিতে মরে পথে পথে 
শত শত গোরস্থান,অনাবাদি জমি আর ক্ষুধার সীমানা পেরিয়ে তোমার পথে
আমি ফিরছি তোমরাই দিকে, তোমার পথ ধরে একটু শান্তির মিছিলে
হয়ত কেটে যাবে সব কালো রাত সময়ের স্রাতে আবার ভাসবে সাদা শাপলা
কেবল শুদ্ধ নদী পারে জন্ম দিতে এমন সাদা শাপলা আর তোমাকে
অগুনিত লাশ আর শিশুর মৃত্যু নিয়ে কি হবে তোমার ভাল বাসা মহা শূন্যে
তুমি আরেকটু কাছে আসো আরও কাছে তুষার সরিয়ে আমার পথে
জাপটে ধর প্রবল এই শীতে, হীম হয়ে আসা জিবনের শেষ সময় টুকুকে
নিজেকে মানুষ ভেবে রক্ত সমেত বাঁধা পেয়ে আমিও ফিরছি তোমারই দিকে
উষ্ণতা নয়, রক্তপাপ থেকে রক্ত বাঁচাতে তুমি আরেকটু এগিয়ে এসো
আমার দিকে যে পথ তোমার পথের সাথে, চিরকাল মিশেছে মানুষের প্রবাহে
অক্ষত জনপদ আর জন্ম মুক্তি পেতে এই মৃত্যু উপত্যকা জীবন পেরিয়ে
কোনো স্বপ্ন বাঁচাতে তুমি শুধু একটু থেমো, আমাকে তোমার সাথে নিতে

Wednesday, February 11, 2015

মনপুরার হাঁটে


হৃদয়টা বিক্রি হয় মন পুরার হাঁটে
দাড়ি নাই পাল্লা নাই কে তারে মাপে।
নাগর আসিয়া আড় চোখে মুচকি হাসে
চুলের সিঁথি নরসুন্দরের আয়নাতে দেখে ।
হৃদয়টা নাগরের মন পুরার সচ্ছ জলের ঘাটে
ঘুরিয়া ফিরিয়া নাগর সেই মন পুরায় আসে ।
চোখ তার পরে ছিল কুসুম কমল জলের ঘাটে
সেথায় কলস কাখে কাজল কন্যা জল ভরে ।
জলের সাথে খোলা চুল তার ঢেউ এ খেলা করে
কাঁদা মাটিতে নুপুর পায়ে হাতের চুরি হাসে ।
নাগরের চাহনিতে কন্যার চোখে লাজ লাগে
হৃদয়টা বিক্রি হল জলের দেশ মন পুরার হাঁটে ।
তাইতো নাগর আমার বাঁশি হাঁতে নৌকা নিয়ে
সকাল বিকাল মন পুরার সচ্ছ জলের ঘাটে ।
কাজল কন্যা করে খেলা জল আনার ছলে
হৃদয়টা বিক্রি হয়, মন পুরার সেই হাঁটে।

Monday, February 9, 2015

দ্রোহের আগুন


আমি দ্রোহের আগুনে পুড়ে আজ করি মহা প্রলয়নের বিদ্রোহ
ঈশানে নামিল ব্জ্র সিডর থই থই ঝুটে আসে সমুদ্র কল্লল
বানের জলে ভাসে শত কোটি মানবতা বঙ্গ জনীর দাহ ঘর
পদ্মা যমুনার জল সেঁচে বিরঙ্গনার হাঁতে সিন্দু পারাবতের কষ্ট
মাঝি নাই জল নাই! নাই কোন নোঙর, অনলে জ্বলে চরা চর
ব্জ্র কণ্ঠ লুটিয়ে কাঁদিয়ে পুত্র কার বেওয়ারিশ লাশ রাজ পথ ?
রক্তে রক্তে আজ রক্তের ক্যানভাসে কাঁদে পটুয়া তুলি হাঁতে
মানবতা ছুটিয়া পালায় চিৎকারে মহাকালের অন্ধকার গহরে ।
মানুষ মানুষ ভেদে আপন পরাপরে নিজেরাই মরে নাগিনীর বিষে
মহা প্রলয়নের বিদ্রোহ দেখি আমি নিরবে আসে যুগান্তরের রথে ।
যুগ যুগান্তর ভেদে মুক্তির মিছিলে রক্ত ঝরে মুক্তিপাগল জনতার
বারুদের আগুনে জ্বলে বারুদ দ্রোহের আগুনে পুড়ে রাজ মুকুট ।
জলেও জ্বলে নামিয়া আসে পাষাণ বুকে বুলেটের শব্দ মিছিল
দ্রোহের আগুনে পাষাণ কাঁদে হাঁত রাখে বুকে শান্তির মিছিলে
রাজ মুকুট রাজ সেপাহি পালায় দ্রোহের আগুনে পুড়ে রাজ পথে
দাবানলের জলন্ত শিখা চেনেনা আপন পর পুড়ে মরে মহলে? তাই
আমি দ্রোহের আগুনে পুড়ে আজ করি মহা প্রলয়নের বিদ্রোহ
জাগিয়ে তুলি ঘুমন্ত ফেরাউদের, নীল দরিয়া করব দু খণ্ডিত ।
অযুত নিযুত ঘুমিয়ে কোটি প্রান, ওরা জাগবে ওরা আসবে
আমি ঠিক শুনিতে পাই শহীদেরা অস্র হাঁতে এখনো ঘুমায় নাই।

Sunday, February 8, 2015

শেষ চিঠিটা সাদা তোমার জন্য

আমি একবার কেঁদেছিলাম মরু প্রান্তে অঝর ধারায়
বহু কাল পরে দেখি সেখনে সবুজ শ্যামল ছায়ার ঘর
কিছু পাখি কিছু ঘাস ফরিং কিছু অচেনা লতাপাতা
বাহারি ফুল একটি শীতল জলের ক্ষুদ্র টলটলে ধারা ।
আমি হেঁটে গিয়েছিলাম যে পথ দিয়ে আজ দেখি সারি সারি বৃক্ষ
যে পথ দিয়ে ফিরে এসেছিলাম সে পথের পাঁশে গোলাপের বাগান
যে খানে দারিয়ে আকাশ দেখেছিলাম সে খানে আজ আতিথি শালা
যে খানে একদণ্ড বসেছিলাম সেখনে কার জানি একটি মেহেমান খানা
একটি বালিকা আমায় দেখে মিষ্টি হেসে কাছে এসে দুটি চিঠি দিল হাতে
খুব সুন্দর করে লিখা প্রিয়া যদি ভুল করে আসো এ মরু পথে দেখ আমি কে
তোমার ছুঁয়া লাগা এ মরু ভুমি আজ, সবুজে হাসে পাখি খেলে ছায়ায় বসে পথিক,
তোমার জন্য লিখা ভালবাসার প্রথম চিঠি ,আর
শেষ চিঠিটা সাদা তোমার জন্য ?

Friday, February 6, 2015

বিবেক পুড়া গনতন্ত্র


কতটা লাশের মুল্য দিতে হবে হে গনতন্ত্র তোমাকে দেখার জন্য,
কতটা মায়ের বুক খালি করে তুমি ফিরে আসবে সবুজের বুকে ,
হে গনতন্ত্র তুমি কি হারিয়ে যেতে চাও নাকি ফিরে আসতে চাও ,
কারন তোমাকে পাওয়ার জন্য রক্ত তোমাকে হারাবার জন্য রক্ত ,
তুমি স্বাধীন পতাকার মাঝে লক্ষ শহীদের বুকের আশার চির স্বপ্ন ।
হে গনতন্ত্র তুমি বিংশশতাব্দীর প্রতিটা মানুষের লালিত স্বপ্ন
তুমি সব ধর্মের সব বর্ণের সাদা কালো সবার মাঝে সমান স্বাধিকার
তোমাকে চাই হে গনতন্ত্র শান্তির জন্য মায়ের জন্য বোনের জন্য
এই মাত্র জন্ম নেয়া সন্তানের জন্য পিতা পুত্র আর আমার ভাইদের জন্য ।
তোমার জন্য আর কত দিতে হবে প্রান বল চুপ হয়ে যাওয়া গনতন্ত্র !!
গনতন্ত্র তুমি কি ভয় পাও বুলেট বোমা , টিয়ার গ্যাস নাকি কারাগার?
গনতন্ত্র তোমার মুল্য কি আগুনে ঝলসানো পিতা পুত্র কন্যা মায়ের লাশ
নাকি নবাবের খাস মহলে শোভা পাওয়া রাত জাগা বন্ধী নর্তকির নাচ
গনতন্ত্র জেগে উঠ ,আলোকিত করো , চাই না চাপিয়ে দেয়া আন্ধকার
মানুষ আর বিবেক পুড়া সমাজে গনতন্ত্র তুমি নির্বাসনে নও একা!!

Wednesday, February 4, 2015

লিখব প্রিয়াসুকে



তোমাকে লিখতে চাই আপাদমস্তক বিন্দু বিন্দু ছোঁয়াতে
কেমন করে তোমাকে না পড়ে থাকবে কব্য প্রেমিরা ।
আমি লিখব তোমার রক্তের ফোঁটায় ফোঁটায় লবণাক্ত কব্য
পৃথিবীতে লবণ ছাড়া রাঁধনির ভালবাসার নাই কোন মুল্য।
তোমার কপালে লিখে দিবো খুব গোপনে আমার প্রিয় নাম
চোখ যে দিকেই ফিরাবে,দেখবে বসে লিখছি তোমার নাম ।
আমি এমন করে লিখব তোমাকে কলম কালির ছোঁয়াতে
প্রতিটি লিখা আরব্য রজনীর এক প্রিয়াসির গল্পের রাত।
তোমাকে লিখব জাফ্রানি সুগন্ধি গোলাপের সাদা জলে
যে লিখা পড়বে শিরি ফরহাদ বেদুঈনের কাবিলার তবুতে ।
তোমাকে লিখে লিখে একদিন আমি নিভে যাব শূন্য ঘরে
সারা দুনিয়া পড়ে পড়ে জানবে প্রিয়া ভালবাসে প্রিয়াসুকে ।

Monday, February 2, 2015

বলে দাও প্রিয় কথা



বলে দাও লিখে দাও জানিয়ে দাও সেই প্রিয় কথা
যা শুনিবার তরে কেটে গেছে কত নিশি রজনী বেলা,
প্রভাত দুপুর বিকেল সন্ধ্যা রাত জানা অজানা সময়
বলে দাও সেই প্রিয় কথা অপ্রিয় হলে তা চিরন্তন কথা।

ঘুম কি জানিনা ভাবনা দোল খায় মনে আঙিনায়
অজানা ভয় শিহরিত অনুভবে ভয়ে লিখা চিঠি
সারাক্ষন একই প্রশ্ন জাগে মনে কিভাবে বলে
আমার লেখা তরী ভাসবে কি তার হৃদয়ের স্রোতে ?

থমকে যায় জিবনের ভাল লাগা কবিতা্র লাইন
যখন দেখি তোমায় নীরবতা একা একা পথ চলা
বুঝি আমার ভালবাসা এভাবে যাবেনা তোমায় বলা
তুমি শুনবে না জানি ,থমকে যাবে,ভাববে পুতুল খেলা ?

মুখের ভাষায় নাই তুমি বললে ,বলে দাও তুমি দুনয়নে
ভাগ্য লিখা বিধাতার হাতে তবু এইটুকু প্রসাদ দাও মনে,
বলে দাও আমায় সেই প্রিয় কথা আমাকে একটু ইশারায়
ব্যাকুল মন দক্ষিণা বাতাসে তোমার ঘরের জানালায় দারিয়ে।

কখনও ভাবি আমিই বলব কাজল পরেছি তোমার জন্য নয়নে
হোক যা হওয়ার আছে ভাগ্যে একটা মন সপে দিব তোমাকে
নিশ্চুপ রই অবশেষে, লাজুক মন রাতের আধারে আলেয়া হয়ে
নিশিতে আলো জ্বেলে দাড়িয়ে অজানা এক ভীতিতে তোমার পথে
বলে দাও একবার সেই প্রিয় কথা আমাকে যা দেখি তোমার চোখে !!

প্রেমে পরার আগে ভাব........................।

তুমি রুপ দেখে প্রেমে পর না , রুপ ক্ষণ স্থায়ী
তুমি মন দেখে প্রেমে পর না, মন পরিবর্তনশীল
তুমি সম্পদ দেখে প্রেমে পর না, সম্পদ অস্থায়ী
তুমি বংশ দেখে প্রেমে পর না, বংশ অহমিকা
তুমি সুশিক্ষা ও চরিত্র দেখ , তাহালে তুমি প্রেমে জয়ী

Sunday, February 1, 2015