Saturday, January 31, 2015

ভালবাসার গণতন্ত্র

বাহ! কি দারুন তোমার ভালবাসার গণতন্ত্র
আমার ডানা ভেঙ্গে দিয়ে বলো তুমি আকাশে উড়ো !
পায়ে শিকল পরিয়ে বলো এটা সোনার নুপুর তোমার জন্য
বাহ! কি দারুন তোমার ভাল বাসা কি মুক্ত তোমার মন
গেইটে তালা দিয়ে বলো , যখন খুশি ঘুরতে যাও তুমি
তুমি স্বাধীন তুমি মুক্ত তুমি নীল আকাশ তুমি ভালবাসা
আমার জন্য তাই নিয়ে আসো ইটা বালূর বেল গাড়ি টা।
সিরিঞ্জ দিয়ে রক্ত নাও বলো দেখি ভাল আছ কিনা !
বাহ! আবাক তোমার ভাল বাসা অবাক তোমার গণতন্ত্র ,
তোমার স্বার্থে তুমি বাজাও তুমিই সাজাও তুমি কর রঙ্গও
আমি বলি পারোও তুমি দেখাতে প্রেমের তরঙ্গ ।
বাহ! কি দারুন তোমার কথা মালা যেন দিল্লির রস গোল্লা
ত্রাসের রাজা তুমি বাংলাদেশের কত গণতন্ত্র প্রেম দাও আমায়,
হিসাব রাখি সব মহাজনের টালি খাতায় , সময় এলে দেব তোমায়!
বাহ! কি দারুন প্রেম তোমার আমি দিশেহারা
সারা দিন আছো তুমি কত মিটিং মিছিলে সভা সেমিনার নিয়ে
আমায় রেখেছ তুমি সাদা কালো কত বডিগার্ড দিয়ে।
বাহ! কি চমৎকার ভাল বাসা হাত পা মুখ বেঁধে বল
দেখো প্রিয়া তোমাকে রেখেছি আমার বুকে আগলে !!
নিদারুন বজ্র বুকে করুণার হাসি আসে! দূরে একটা গান ভাসে
কারার ঐ লৌহকপাট,ভেঙ্গে ফেল কর রে লোপাট,
রক্ত-জমাট শিকল পূজার পাষাণ-বেদী।

জীবন.....................।।

আমরা অন্যের ইচ্ছায় জন্ম নেই
আমরা অন্যের ইচ্ছায় বাঁচিয়া থাকি
আমরা অন্যের ইচ্ছায় মৃত্যুবরন করি।
শুধুমাত্র ভালোবাসা আর বন্ধুত্ব কিছু সময়ের জন্য বুঝিয়ে দেয় আসলে আমরা একা নই।

আজ আশু নেই

নয়নে তোমার আজ আশু নেই আছে শুধু অনল
যে অনলে তুমি জ্বলে জ্বলে সাজাও আপন আঙ্গিনা ।
আমার বীণা নয়নও জলে শীতল তরঙ্গে কাঁদছে
আলেয়ার আলো প্রেমও জেনে নয়ন তারে আঁকছে।
যে আশু ঝরে আমার কাজল কালো নয়নে
সেই আশুই জ্বলে আমারও হৃদয় মন্দিরে ঘরে।
আমার আরশি নগর এক নয়নের পড়শি বাড়ী
আমি দেখিলাম তারে,আমার নয়নে আশু হয়ে ঝরে
আমার সবুজ অরন্যে তুমি এলে কোন অনল জ্বেলে
আমার বলার শেষ কথা শুধু নয়নে আশু ঝরালে ।

-জ্বী হুজুর সোনার বাংলাদেশ

-জ্বী হুজুর সোনার বাংলাদেশ
বড় শীত করেছে , মন্ত্রী মহাসয়
-জ্বী হুজুর ।
-আকাশটাও মেঘাচ্ছন্ন ।
-জ্বী হুজুর ।
-দেশে উন্নায়নের চাঁদ দেখা যায় ।
-জ্বী হুজুর ।
-বাংলাদেশ তো এখন শান্ত,
-জ্বী হুজুর । একদম আমাদের পাহাড়ী অঞ্চলের মত শান্ত । আপনার পুষ্যাবাহিনী টহল দেয় সবসময়
। খুন ধর্ষণ হয়ার কোন চান্সই নাই ।
-ভারতের সাথে আমাদের সম্পর্ক এখন বেশ, তাই না এ
-জ্বী হুজুর । এটা দরকার ।
। বিদ্যুৎ কেন্দ্র, কয়লা চুল্লী সবই হবে । তবে এইবারের ঝাঁকিটা সামাল দিয়ে উঠি আগে । তেল কেলেঙ্কারি বিষয়টা খুব খারাপ দেখাচ্ছে ।
-জ্বী হুজুর । যাই করেন কোন সমস্যা নাই । এইদেশের মরা পাবলিক জাগবে না কোনদিন ।
-আরও একবার বিদ্যুতের দাম বাড়ালাম । হাহাহা !!!!
-জ্বী হুজুর । বিদ্যুতের দাম বাড়ানো দরকার ছিল । রাত্রিবেলা লোকজন লাইট জ্বলিয়েই ঘুমাই । এখন আর তা করবে না । অপচয় কমবে । আপনারা খুবই ধূর্ত ! এদেশের ভোদাই জনগণকে বেশ ভালভাবেই শাসন করে যাচ্ছেন ।
-শীত খুব পড়েছে, তাই না মন্ত্রী মহুদয় ?
-জ্বী হুজুর !

Friday, January 30, 2015

ভুলে যাও , বাঁচো নতুন করে


চাই না তুমি তোমার খুব কাছের মানুষগুলোকে ছেড়ে আসো
চাইনা আমি আমার ভাল থাকারজন্য পূরো পৃথিবী ছেরে যাও ।

চাই না তোমার মনের জায়গাটার দখল শুধু আমার ই হোক
আমার জন্য তোমার কিছুই করতে হবে না শুধু বিশ্বাস কর আমাকে!!

মন খারাপের দিনগুলোতে প্রথম সবাই সঙ্গ দেয় কিন্তু দুইদিনপর
মন খারাপ থাকার বিষয়টা বিরক্তির কারণ হয়ে ওঠে সবার কাছেই ।

কি ভীষণ অভীমানে মন দূরে চলে যায় আপনজনদের কাছ থেকে
স্বপ্ন আর বাস্তব সেতো হাজার মাইল দূরে আজীবন হয়না দেখা ।

যদিও বা কখনও ভুল করে ভূল পথে হয়ে যায় দেখা তা কিন্তু স্বপ্ন
আর এটাই ভালবাসার চরম সত্যতা স্বপ্ন আর বাস্তবতার খেলা।

কখনও দূরের ওই নীল আকাশের আগ্রহ তার মাটির সাথে মিলনের
আকাশের কান্না দেখে যেনো দূর থেকে মাটির একটু ছোয়া পায় সে ।

একটু খানি ছোয়া পেতে আকাশ কেদেও মাটিতে সুখ খুজে নেয় অজান্তে ,
আমি কেন পারবো না তোমাকে ভালবেসে সারাজীবন কেদে কাটাতে ।

আমার নিজের বলে কোথাও কিছু নেই পাইনি জিবনের আমার শব্দটা
যাদের নিয়ে বেচে আছি, সবাই অন্য কারো শুধূ পরগাছার মত বেচে আমি।

আছি বেঁচ আর অনুভতিটা মোটেও কোন সুখের কল্পনা নয় এটা জিবনের
স্বপ্ন গুলো আর ভীড় করেনা মনের কোণে এখন শুধূ দু:স্বপ্নের প্রতিধনি শুনি ।

নিত্য তার হাহাকারের শব্দে শোরগোল,স্বপ্ন বাস্তব সেতো হাজার মাইল দূরে
রাতের নিস্তব্ধতা ভোরের শিশিরসিক্ত অরুণোদয় আলোড়িত করে না।

উদাসী কোন দুপুরে একান্ত করে কাউকে ভাবতে ইচ্ছা করে না ।
বিষন্ন কোন বিকালে অজানার উদ্দ্যশ্যে রেললাইন ধরে হাটতে ভালো লাগে না।

গোধুলির আবির রংয়ে আমি আর মহিত হই না
কবিতার খাতা হাত দিয়ে স্পর্শ করি না কতদিন ।

মনের কল্পনায় লেখা হয় না কোন গল্প তোমার আর আমার জন্য
আগের সেই বাধভাঙ্গা হাসিটাও কোথায় য়েন হারিয়ে ফিলেছি অজান্তে।

ভাবছি বদলে গেছি !অমার মাঝে আজ অমাকেই খুজে পাইনা
কেন জানি আজ কান্নাকেই খুব বেশি ভালবাসি মনের মত করে ।

পারিনা ভুলে যেতে পৃথিবীর কঠিন বাস্ববতাকে সময়ের আগেই
শুধু অনুমানের উপর এই সমাজের মানুষগুলো নির্দয়ভাবে শাস্তি দিতে পারে ।

তাই চাই না তুমি তোমার খুব কাছের মানুষগুলোকে ছেড়ে আসো আমাতে
কল্কক আর অপবাদে একটি মনের সব স্বপ্নকে ভুলে যাও , বাঁচো
নতুন করে ।

Thursday, January 29, 2015

আমার জীবন ডায়রি থেকে ১৯৮৭ সাল


অনেক অনেক দিন পর আজ লিখতে বসলাম ,
আমি ঘুমিয়ে ছিলাম প্রচন্ড এক অভিমান নিয়ে । মায়ের ডাকে ঘুম ভাঙল , চা হাঁতে নিয়ে বেলকনিতে আসলাম ।
বেলকনিতে বসে আছি, চাঁদের আলোতে ভাসছে পৃথিবী ,এখন আর তেমন করে দেখা হয়না জোছনা মনে হয় জোছনাতে দেখার কিছু নেই সে যেন প্রতিদিনের সব কাজের মতই স্বভাবিক একটা ঘটনা মাএ যাকে ইচ্ছা করলেই এড়িয়ে যাওয়া যায় অনায়াসে।
অথচ এইতো মাএ কয়েকবছর হলো এই জোছনায়ই তোমাকে ঘরে থাকতে দিতো না তুমি বেরিয়ে পড়তে রাস্তায় আর আমাকেও তুমি আনতে ছাদে….তারপর স্বপ্নের জাল বুনা । কখনও সে ঘর হতো কোন নির্জন দ্বীপে ,কখনও সেটা কোলাহল ছাড়া ছোট কোন গ্রামে অথবা কখনও সেটা হতো পাহাড়ী কোন নদীর পাশে ।আর আমি ভেসে যেতাম তোমার পাগলামি কবিতায় স্বপ্নের স্রোতে ।একটা প্রিয় কবিতার লাইন মনে
পড়ছে “ভালবাসা যে মানুষকে এতোটা অসহায় করে তুলতে পারে সেটা তোমাকে দেখার আগে জানা ছিলো না “ যেদিন আমি বলেছিলাম তোমাকে “আমি বাকি জীবনটা তোমার সাথে থাকতে চাই প্রিয়াসু “
সেদিন কি অসহায় দেখাচ্ছিলো তোমাকে .তুমি আমাকে অনেক ঘন্টা ধরে শুধূ একটা কথাই
বুঝিয়েছিলে বাস্তবতা কি!! আমি সেদিন কিছুই বলিনি তোমাকে শূধূ মাধা নিচু করে তোমাকে বুঝিয়েছিলাম যে আমি বুঝেছি ,তবে এতোদিন পর আজ সত্যিই জানতে ইচ্ছা করছে।
আসলেই কি ভালবাসাটা এতোটা অসহায় যেখানে মা-বাবা ,সমাজ ,টাকা সবকিছুর কাছে হেরে যায় ?তাহলে মানুষ ভালবাসে কেন ? কেন করে এই ছল?কেন বলে তোমাকে ছাড়া বাচতে আমার সত্যিই অনেক কষ্ট হবে? তাহলে সবই কি মিথ্যা ?
কত প্রশ্ন আজ মাধায় ঘুরপাক খাচ্ছে শুধু উত্তর দিয়ার জন্য তুমি কাছে নেই !! আর যদি কাছে থাকতেও তুমি কি কোন উত্তর দিতে পারতে ?
মনে পড়ে তোমার সেই সন্ধ্যাটার কথা যখন সূর্য ডুবে যাচ্ছিলো ,পাখিরা ফিরছিলো তাদের চেনা ঘরে ,আমি ছিলাম আনমনা যদি এমন একটা সন্ধ্য আবার আমাদের জীবনে না আসে ,তোমাকে কথাটা বলতেই হেসে বলেছিলো সন্ধ্যা তো প্রতিদিনইহয়,হুম আজও সন্ধ্যা হয় প্রতিদিনের মত শুধু সূর্যডুবার অথবা পাখিদের ঘরে ফেরার ।
প্রিয়াসু তুমি আজ আমার পাশে থাকোনা ,আর আমিও এখন আর অনমনা হইনা , মনেই থাকেনা কখন সন্ধ্য হলো ,সূর্যটা ডুবলো কি ? ভুল করে যদিও বেলকনিতে গিয়ে দাড়িয়ে পড়ি সন্ধ্যার মৃহুর্তে তবে বিরক্ত লাগে পাখিদের ডাকাডাকি কি অসহ্য এতো ডাকার কি আছে ?পৃথিবীটা কত বদলে যায় তাইনা ? কি জানি হয়ত সবই ঠিক আছে শুধু বদলে গেছি আমি না হলে কি এতোটা চুপচাপ জীবন চলতো ?যে আমার কথা বলার জন্য তোমার প্রয়েজনীয় কথাটাই বলা হতো না !!
আজ কেন জানি মনে হচ্ছে জীবন চলে যায় জীবনের নিয়মে ,কারো জন্য সে থেমে থাকে না , শুধূ মাঝে থেকে হারিয়ে যায় কিছু প্রিয় মানুষ ,কিছু প্রিয় মুহর্ত ,কিছূ ভাললাগা ,কিছ ……..তবুওতো বেছি আছি এটাই যথেষ্ট আমার জন্য !!ভালো থেকো ,যেখানেই থাকো ,

Tuesday, January 27, 2015

ঘুমহীন নক্ষত্রের রাত




অসংখ্য ঘুমহীন নক্ষত্রের আর চাদের সাথে রাত জেগে আছি
সেই ধুলো পরা ডায়রিতে হারিয়ে যাওয়া ইতিহাস পড়ছি ।
জিবন পরিবর্তনের দমকা হাওয়ায় অরন্য হয়েছে অট্টালিকা
আমি বদলাইনি এতটুকু ,তুমি মনে রেখ স্বপ্নেরা মরে না কখনো!!

ফেরারি মন যদি  দুজন দুজনার ঠিকানা খুজে নেয় খেয়া ঘাটে
ঠিক দেখবে আকাশ সাজবে মেঘে মেঘে ঝরবে বৃষ্টি অঝরে
চাঁদ খুজে পাবে মেঘের লোকো চুরি আর সূর্য পাবে অনন্ত দিন
হৃদয় খুজে পাবে প্রেম আর জীবন পাবে পবিত্র বিশুদ্ধ নিঃশ্বাস ।

অপূর্ণের সংকীর্ণ পূর্ণ স্রোতের একতারার সূর একতালে
ছিনিয়ে নেবে জিবনের সকল চাওয়া পাওয়া আপন ভুবনে
ভাসিয়ে দেবে ঝরে পরা আশু তোমার মধুর ছোঁয়াতে জীবন
বেঁচে থাকার অনেক পাবে ঠিকানা তোমার ফিরে আসা বুকে।

ভালোবাসার মতো এখন আর পিছু ফেরাতে পারে না কেউ
শুধু বেঁচে থাকা, ঝুলে থাকা,অবকাশ নেই কিম্বা প্রশ্নই ওঠে না !
তিলে তিলে জমে ওঠে আশু, কেঁপে ওঠে তরঙ্গ অনিদ্রা চোখের পাতায়
কেমন আলস্যে আমি শুয়ে থেকে চাঁদ দেখি আকাশে তোমার আশায়।


ইকো পার্ক , ঢাকা







প্রিয়াসু যেই সন্ধায়

প্রিয়াসু যেই সন্ধায় প্রথম তোমায় দেখি
অনুভূতির পুঁথিমালা বুকের মধ্যে গাঁথি।
বাঁকা চাঁদ সেদিন উদার আলো ঢেলেছিল
অশান্ত অন্তরের মৃগনাভি মাতিয়ে রেখেছিল।
মন ছিলনা মনের ঘরে ,প্রতীক্ষা শুধু তোমারই তরে
বিনা কাজলে আমার সলাজ আঁখি সদা টান টান।
মনের ঘরে দমকা হাওয়া শ্বাসরুদ্ধ আঁধির তুফান
ফুলের তোড়ার সুগন্ধ যখন তুমি এলে মনের কাছে।
ঝড় তোলা সম্ভাষনে ও উদ্দাম আড়চোখে দেখে নিলাম
এক জোড়া মায়াবী দৃষ্টি বিনিময় জীবন স্বপ্ন ঘরে আমি ।
ঠোঁটের কোণায় মৃদু হাসি হয়ে আছে অক্ষয় মনের
আমার কালো টিপ কপোলে বিন্দু বিন্দু ঘাম ঝরে ।
তুমি চেয়ে চেয়েছিলে অপলক এক আলোর মত
তখন অন্তরেতে ঝর ঝর ঝরিছে ক্ষরিতা বারিধারা।
তোমার হাতের একটু ছোঁওয়ায় আমি যে পাগলপারা
অন্তরে দহন মনে তোলপাড় তবু ছিলে সংযত।
এই তো তুমি শুধু তুমি আমার তুমি তোমারই মত
নানান কথার ভিড়ে না হারিয়ে দেখছিলে আড়ে।
বুঝেছিলে কি তখন এমন বেঁধেছে সুর তোমারই তারে
অজানা অন্ধকারে এক মুহূর্তে হঠাত কাছে দুটি মন ।
সেই ঝড় আজও চলছে, যায়নি থামি তোমার আলিঙ্গন
ভাসিয়ে ছিল সযতনে লালিতা অন্তরীনা তোমার তরে ।

জ্বী হুজুর সোনার বাংলাদেশ............................দ্বিতীয় অংক



শীত কালে বৃষ্টি এটা যেন রহমতের বৃষ্টি কি বল , মন্ত্রী মহাসয়

-জ্বী হুজুর ।

-অবরোধ হরতালে চুন কালি, নাকে খত , দারুন না ব্যাপার টা ।

-জ্বী হুজুর ।

-দেশ এখন আমার তাবেদার । দিন বললে দিন রাত বললে রাত ।

-জ্বী হুজুর ।

-বাংলাদেশে এখন বায়ু দূষণ শব্দ দূষণ নাই । অবরোধে কি আমার কিছু আসে যায় !!

-জ্বী হুজুর । একদম ঠিক আপনার টি ভি গুলো যে সুন্দর করে দেখায় । দেশে যে সান্তি আছে টি ভি চ্যানেল দেখলে তা বুঝা যায় । আপনার পুষ্যাবাহিনী রাস্তায় যে টহল দেয় সবসময় । এখানে আন্দোলন টানদোলন কোন চান্সই নাই ।

- বিরোধী দলের সাথে আমাদের সম্পর্ক এখন বেশ, তাই না

-জ্বী হুজুর । এরা তো আপনার কিনা গোলাম । এক কথায় আপনার গৃহ পালিত প্রানি ।আপনার পোষা বিড়াল , মাছ টা আপনি খেয়ে কাঁটা দিলে কি সুন্দর করে দল বল নিয়ে চাটে ! আমার কিন্তু দেখে মজাই লাগে ।

। পুলিশ র‍্যাব আর বিজিবি দিয়ে এইবারের ঝাঁকিটা সামাল দিয়ে উঠি আগে ।  ভোট না পেয়ে ক্ষমতা আশাটা কেলেঙ্কারি বিষয় আন্তর্জাতিক ভাবে খুব খারাপ দেখাচ্ছে ।

-জ্বী হুজুর । যাই করেন কোন সমস্যা নাই । আপনার সাথে ভারত রাশিয়া আর গোপনে কেউ কেউ আছে না । এ দেশের যুবক এই বৃষ্টিতে কাতা গায়ে ঘুমাইতেছে ।

-আরও এক টা টি ভি চ্যানেল বন্ধ করতে হবে ।

-জ্বী হুজুর । রাত জেগে টি ভি দেখে তাঁতে বিদ্যুতের উপর চাপ বারে । এখন আর তা করবে না । অপচয় কমবে ।

-শীত খুব পড়েছে, তাই না মন্ত্রী মহুদয় ?

-জ্বী হুজুর ! দেশের বুদাই পাবলিক ঘুমানির জন্য এটা রহমতের বৃষ্টি
 -ভাইবার টাঙও বন্ধ করছি !
-জ্বী হুজুর ! সেল ফোন কোম্পানি ভাল মালপানি দেব । তা ছাড়া গোপন কথা রেকট রাখা যায় না । খুব ভাল কাজ হুজুর , বাহ হুজুর আপনার যা হিটলারি বুদ্ধি।
-আমি একটু ঘুমাই , সকালে ডাক দিও আমার নাতনীর গান শুনব লাইভে
-জ্বী হুজুর ! ডাক দিব ! দেশ ডুবে যাক!পুড়ে যাক , মরে যাক , আপনার কি তাঁতে ? আমারা আছি না আপনার পাশে........................।।