Friday, June 19, 2015

পুত্রের ভালবাসা পিতার জন্য ( অনু গল্প)


----------------------------------------------- সেলিনা জাহান প্রিয়া
ছেলেঃ বাবা তুমি রোজা রাখ কেন ?
বাবাঃ আল্লাহর হুকুম । এটা ফরজ ।
ছেলেঃ বাবা রোজা ফরজ আর নামাজ ও ফরজ । তাহালে তুমি শুক্র বারে মাঝে
মাঝে নামজ পড় । তাহালে তুমি তো প্রতিদিন অনেক ফরজ বাদ দাও ।
বাবাঃ কাজের চাপে নামাজ পড়তে পারি না ।
ছেলেঃ তাহালে খুদা লাগলেও কি তুমি রোজা ভাঙ্গাবে ।
বাবাঃ না ভাংবনা
ছেলেঃ একটা কথা বলি । তুমি যে আমাদের জন্য এত দামি ইফতার কেন এটা কি
ইসলামের বিধান । কারন আমার অনেক সজন রা তা কিনতে পারে না।
খেতে পারে না । তুমি কি এসব কিনার সময় তাদের কথা ভাব ।
বাবাঃ না আমি তো ভাবি না ।
ছেলেঃ বাবা তোমার অনেক টাকা ব্যাংকে রেখেছ তা থেকে তুমি মাসিক অনেক টাকা
পাও । বাবা তুমি কি জান ইসলামে রিজেক হালাল না হলে ইবাদত হালাল না ?
বাবাঃ দেখ পুত্র তুমি আমার সন্তান তোমার কাছ থেকে কি আমাকে ইসলাম সিখতে
হবে । আমি কি হালাল হারাম বুঝি না। আমি তো মসজিদে মাদ্রাসায় অনেক
দান করি তুমি কি তা দেখ না ।
ছেলেঃ বাবা তুমি কেন আমার কাছ থেকে ইসলাম সিখবে । ইসলাম শিখার জন্য
ইসলামের ইমামদের কাছ থেকে জ্ঞান নিতে হবে যারা তোমাকে আল কুরান
ও ছহি হাদিস অনুসারে জীবন বিদান সিখাবে ।
বাবাঃ দেখ না আজ কাল ইসলামের ইমাম রা কত ভাগে বিভক্ত ।
ছেলেঃ না বাবা ইসলাম আল কুরান মতে চলে তবে তুমি যে বিভক্ত দেখছ তা কিন্তু
আল কুরান ও হাদিস মতে বিরোধ না । এটা তাদের ব্যপার তাই বলে কি
তুমি ইসলামের কাজ করবেনা । তুমি আল কুরান আর হাদিস অনুসরণ কর
। কোন ব্যাক্তি কে না ।

বাবাঃ এত জেনে কি হবে পুত্র আমার ?
ছেলেঃ আচ্ছা বাবা ধর আমার এখন রক্ত লাগবে । রক্ত না হলে আমি বাচব না ।
তুমি অনেক কষ্ট করে কিছু মানুষ আনলে আমাকে রক্ত দেয়ার জন্য । ওরা
টাকার বিনিময়ে রক্ত দিবে । তুমি অনেক টাকা দিয়ে রক্ত কিনলে । কিন্তু
ওদের দেখলে "আইচ আই ভি এইডস" আছে । তুমি কি সেই আমার জন্য
নিবে?
বাবাঃ অসম্ভব এটা কি নেয়া যাবে । কিছুতেই না ।
ছেলেঃ বাবা হারাম পথে আসা অর্থ ঠিক তেমন । তুমি সুদ খেয়ে কোন দান করলে তা
কোন কাজে আসবে না। ঘুষ খেয়ে নামাজ রোজা যাকাত কিছু হবে না । বাবা
সুদ ও ঘুষ ইসলামে হারাম হারাম ও হারাম । বাবা তুমি হালাল পথে আসো
এটাই পুত্র হয়ে পিতার নিকট ভালবাসা মনে কর ।।

Thursday, June 18, 2015

ভাবি মনে মনে


চাইবো শুধু দু'টো জিনিস যদি তুমি পারো দিতে
চুপিসারে রেখে যেও যখন আমি ঘুমিয়ে পরবো !
দিন যত হোল গোলাপ ততটাই ঝরেছে বাগানে
আজ জানতে চাই তোমার কাছে ভেজা চোখে ,
যেদিন আর গোলাপ ফোটবেনা বাগানে
সেই দিনও থাকবে কি তুমি এখানে এভাবে !
সাদা রঙের স্বপ্ন গুলো স্বপ্নিল কোন রাতে
কেঁদে কেঁদে ক্লান্ত মনের ভিতর পাঁজর ছুঁয়ে ।
চোখের আঙ্গিনায় এখনো জোছনা ছড়ায় আলো
তুমি কি আমায় আগের মতো বাসো ভালো ?
এখনো কি পুরনো চিঠি পড়ে নয়ন ভেজাও অভিমানে
এখনো কি বিকেলের রোদ গল্প বলে তোমার কানে কানে
বাতাসে কান পেতে থাকি এই বুঝি ডাকছ তুমি নাম ধরে
আছি এই তো আনন্দ, এই আনন্দের কাছে এই দ্বীপান্তর
এই মেঘ, এই ঝুম বৃষ্টি, এই শিশিরের শব্দের জন্য
আমি সহস্র বছরের বেঁচে থাকতে চাই তোমার বুকে।
এই যে মুহূর্তে, এই যে দাঁড়িয়ে থাকা কাজল চোখে
হাল্‌কা মেঘের উপচ্ছায়ায় একটি ম্লান দিনের তরে ।
অনুভবে বুঝে নিও তোমায় কতটা ভালোবাসি
ঘুম ভাঙা প্রহরে অকারনেই তোমায় ভাবি মনে মনে ।

Wednesday, June 17, 2015

ভাই সমাচার....................................


স্যার ক্লাসে এসে বলল দিদার তোমার ভাই তোমার নামে বিচার দিয়েছে
দিদারঃ কোন ভাই স্যার ?
স্যারঃ কোন ভাই মানে ? ভাই কত প্রকার বল??
দিদার: স্যার ভাই দুই প্রকার ১। আপন ভাই ২ ।সৎ ভাই
স্যারঃ হাহ! ভাই নাকি দুই প্রকার???
মফিজঃ তুমি বলো তো ভা্ই কত প্রকার??
মফিজ: ভাইয়া তিন প্রকার , ১। আপন ভাই ২।সৎ ভাই ৩। অসৎ ভাই
স্যার: :u অই তোরা একে একে ভাই কত প্রকার বলতো ??
জলিল: ভাই চার প্রকার , ১। আপন ভাই ২। সৎ ভাই ৩। অসৎ ভাই ৪। দুলাভাই
সুমনঃ ভাই পাঁচ প্রকার ১। আপন ভাই ২। সৎ ভাই ৩। অসৎ ভাই ৪। দুলাভাই
৫।দাদা ভাই
স্যার: আক্কাস তুই বল ভাই কত প্রকার?
আক্কাস: ভাই সাত প্রকার , ১। আপন ভাই ২।সৎ ভাই ৩। অসৎ ভাই ৪।
দুলাভাই ৫। দাদা ভাই ৬। চাচাতো ভাই ৭। ফুফাত ভাই
রনিঃ স্যার ভাই ৮ প্রকার -১। আপন ভাই ২।সৎ ভাই ৩। অসৎ ভাই ৪।
দুলাভাই ৫। দাদা ভাই ৬। চাচাতো ভাই ৭। ফুফাত ভাই
৮।মামাতো ভাই ৮। খালাতো ভাই।
সামাদঃস্যার ভাই ৯ প্রকার -১। আপন ভাই ২।সৎ ভাই ৩। অসৎ ভাই ৪।
দুলাভাই ৫। দাদা ভাই ৬। চাচাতো ভাই ৭। ফুফাত ভাই
৮।মামাতো ভাই ৯। খালাতো ভাই।
স্যার: জব্বার তুই বল ভাই কত প্রকার?
জব্বার: ভাই দশ প্রকার , ১। আপন ভাই ২।সৎ ভাই ৩। অসৎ ভাই ৪।
দুলাভাই ৫। দাদা ভাই ৬। চাচাতো ভাই ৭। ফুফাত ভাই
৮।মামাতো ভাই ৯। খালাতো ভাই। ভাইরা ভাই
বল্টু: ভাই অনেক প্রকার , ১। রুবেল ভাই ২।
সাকিব ভাই ৩। যদু ভাই ৪। মধু ভাই............ ......
স্যার: থাম ! থাম!!! (বুকে চাপ দিয়া)
রতন : স্যার আরেকটা ভাইয়ের কথা মনে পড়ছে
সেইটা হইলো – শ্যালার ভাই। উদাহরণ আমাদের
পাশ্ববর্তী দেশ ইন্ডিয়া।

Tuesday, June 16, 2015

অমীমাংসিত রহস্য........................... ছোট গল্প


--------------------------------------------------------সেলিনা জাহান প্রিয়া
মাঝ রাতে দরজায় কড়া নারার শব্দে ঘুম ভেঙ্গে গেলো। বিরক্ত ভাব নিয়ে দরজা খুলল ইমু । দরজা খুলেই বিস্মিত কণ্ঠে বলল- আরে কায়েস? এতো রাতে? আয় আয় ঘরে আয় ।
কায়েস একগাল হেসে বললো- দোস্ত অনেকদিন তোকে দেখি না। তোকে দেখতে ইচ্ছে হলো তাই চলে আসলাম। আজ রাতটা তোর সাথেই কাটাবো।
--- ঠিক আছে তোকে দেখে তো আমি অবাক ! যাই হক ! লন্ডন থেকে কবে আসলি ! কত দিন তোর
কোন ফোন নেই । তা আমার সাথে শুধু মাত্র দেখা করবার জন্য এতো রাতে সে চলে আসবি বাসায়! তা তো ভাবতেই পারছি না। এই না হলে বন্ধুত্ব। কি বাহিরেই দাড়িয়ে থাকবি? ভিতরে আস? গল্প করি দুই
বন্ধু মিলে সারারাত।
--- নারে দোস্ত ঘরে বসবো না। চল বাহির থেকে ঘুরে আসি।
--- সে কিরে! এতো রাতে কোথায় যাবি? আর তুই এতো সাহসী হলী কবে থেকে? কিছুদিন আগেও না
সন্ধ্যার পর তুই ঘর থেকে বাসার বাহির বের হতি না? এখন রাত দেড় টা !!
----এখন কি আর সেই দিন আছে! বিদেশ আমাকে অনেক সাহসী করেছে বুঝলি ! চল বাহিরে চল।
ইমু একগাল হেসে উত্তর দিলো চল- সাহসী ছেলে
----আচ্ছা তোর হয়েছি কি বলতো? ঘরে না বসে বাহিরে নিয়ে আসলি । মন খুব ফুর ফুরা । আবার দেখি
এতো চুপচাপ খুব মজা করে কথা বলছিস ! রহস্য কি ?
--- না এমনিতেই। মায়ের জন্য মন কাঁদছিল । কিন্তু মায়ের সাথে দেখা করতে পারলাম না । মায়ের তো
হাইপ্রেসার তাই তাকে আর ঘুম ভাঙ্গালাম না। মাকে খুব মিস করি তাই না বলে চলে আসা ।
---- ভালই করেছিস ! তা তুই সারারাত কোথায় ছিলি?
----- কোথায় আবার কিছু সময় রাস্তায় তার পর ভাবলাম তোর কাছে আসি। তুই ছাড়া এত আপন কে
আছে বন্ধু আমার !!
দুই বন্ধু মিলে সারারাত কত আলাপ হাঁটতে হাঁটতে সাজানপুর থেকে তাদের প্রিয় জায়গা সাহাবাগের সেই চায়ের দোকান । এখন রাত সারে চার টা ।
কায়েস বলল--
----- চল ফিরা যায়
----- ইমু হাসি দিয়ে , অনেক দিন পর এক সাথে হাঁটলাম । তুই বিদেশ জাওয়ার পর আমি বর একা হয়ে
গিয়েছিলাম । আর তুই না বলে এভাবে আসবি ভাবতে পারি নাই ।
----- শুন ইমু আমি কিন্তু তোর জন্য কিছু আনি নাই !
---- আরে নাটু, তুই আসছিস আর কি লাগে । এখন বল কত দিন থাকবি
---- জিবনের জন্য চলে আসলাম আর যাব না ।
---- বলিস কি তোর তো লিখা পড়া শেষ হয় নাই ।
---- আর লিখা পড়া করে কি হবে আমি কি চাকুরি করব নাকি ?
--- তাহালে কি করবি?
---- বাবার মত ব্যবসা । বুঝলি
--- ভাল হল আমি ও ব্যবসা করব !!
---- সত্যি !! তাহালে আয় । সকালে একসাথে নাস্তা খাব ।
কায়েস বিদায় নিল । ইমু বাসায় এসে একটা ঘুম দিল । ঘুম থেকে জেগে দেখে সকাল নয়টা ।
তারাতারি ইমু কায়েসের বাসায় রওনা দিল ।
ইমু বাসায় প্রবেশ করে নিথর পাথর হয়ে দাড়িয়ে । কায়েসের মা ইমু কে জরিয়ে ধরে অজর ধারায় কাঁদছেন। খালাম্মাকে কি ভাবে শান্তনা দেব বুঝতে পারছি না। ইমুর কাছে সবকিছু এলোমেলো মনে হচ্ছে। পুরো বাড়ি জুরেই কান্নার শব্দ ভেসে বেড়াচ্ছে। বাড়িতে অনেক মানুষ । ইমুর আস্তে আস্তে বোধশক্তি লোপ পাচ্ছে। এ আমি কি শুনছি। আমি তাহলে এতক্ষণ কার সাথে ছিলাম? কায়েস তো তার বাসায় আমাকে আসতে বললো। কায়েসের লাশটি গাড়ি থেকে নামানো হল। শেষ বারের মতো অবাক হয়ে দেখতে লাগলো ইমু এটা তো কায়েসের লাশ । ইমুর সমস্ত পৃথিবী দুলো উঠলো। মনে হচ্ছে সবকিছু দুলছে। চোখ এর সামনে থেকে সবাই আস্তে আস্তে দূরে সরে যাচ্ছে। ইমু আসতে আসতে অন্ধকার একটা জগতে হারিয়ে যাচ্ছিল। দূরে কে যেন কান্না করছে। তার মাঝে কে যেন বলছে- আম্মুকে বলিস, আমি আম্মুকে অনেক ভাল বাসি। কায়েস লন্ডনে গত দুদিন আগে মারা গেছে । আজ তার লাশ এসেছে । তাহালে সারা রাত কে ইমুর সাথে এত গল্প করল । তার কাছে এটা আজীবন রহস্য হয়েই রয়ে গেল ।

Sunday, June 14, 2015

ঘুম ভাঙ্গেনা তোমার শব্দে

ঘুম ভাঙ্গেনা তোমার শব্দে
-----------------------------------------------১৪/০৬/২০১৫
গভীর রাতে আঁধার ঠেলে ঠেলে কবে থেকে
ধরা হয় না জানালার শিক।
তুমিও বিনিদ্র থাকোনা আর
হায় ! জীবন কত পরিবর্তন শীল।

তোমার বিলাসবহুল ভাবনাগুলো
চিলের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় মেতেছে,
আমি মূল্যহীন যুক্তি দেখাই
কোনো এক মায়াবী রমণীর স্বপ্নের কবলে।
এত ভালোবাসা রাখি কোথায় ?
কি ভাবে কুরিয়ার করি তোমার ঠিকানায় ?
কি ভাবে হলুদ খামে ভরি
এই বসন্তের সঞ্চিত ভালোবাসা ?
প্রতিবার শীত শেষে বসন্তের বায়ু বয়
আমি ভাবি এবার আমার গৃহে আসবে নিশ্চয়।
দীনহীনে দয়া করে তুমি দেবে দেখা
কিন্তু তুমি নিঠুর পরশী আমি পড়ে রই একা।
তুমি চাইলে গোলাপের সুগন্ধি
সুরভিত আঙ্গিনা।
আমি গোলাপ হয়ে ফুটে উঠলাম,
তুমি চাইলে সাগর সেচা মানিক
আমি নিজেই সাগর হলাম।
তোমাকে জড়াতে চাই। সুরের নিবিড় জাল পেতে
মর্মের ভিতর বন্দি করে তোমার সংস্পর্শ চাই
হে অরন্য ! বাতাসের শিহরণে তোমার সুঘ্রাণ
উন্মাতাল করে তোলে। প্রেমে ও বিরহে আমি পুড়ি,
তোমার হৃদয় মানচিত্রে
সবুজ বৃত্তে ফুটানো লাল গোলাপ।
অনন্ত অবসরে দিগন্তের চারিধারে
প্রকৃতি ও দুলছে হাওয়ার দোলা ।
তোমার স্মৃতি যখন আমার মনে পড়ে
সর্নাত্ব মন বার বার তোমার কাছে টানে।
এখনো ঘুমিয়ে থাকি তোমার বুকে
তবু ঘুম ভাঙ্গেনা তোমার শব্দের গানে

আবার শেষ থেকে শুরু....


----------------------------------------------------------------
নিঃশব্দে চারিদিক নিশ্চুপ
সময়ের শব্দ শুনা যায়।
মাঝে মাঝে আকাশটা দেখি,
তাতে নীল আর সাদার মেলা।
মাঝে মাঝে স্বপ্ন দেখি,
তাতে অসমাপ্ত দৃশ্য!
মাঝে মাঝে বাস্তবতা দেখি,
তার নির্মম কুৎসিত চেহারা !
একটি মন হারিয়ে গেল
কেউ ছিল না কাছে তার
হারিয়ে যাওয়ার কালে!!
অন্ধকারে হারিয়ে গেল
অতৃপ্ত এক আলো।
ঠোট দুটোয় ছিল যেন
অভিমানের সুর..
অভিমানে চলে গেল
সেই মন অনেক দূর।
হায়! অভাগা মন
কেউ দেখলোনা না
হৃদয় ভাঙ্গা মন !!
এক মুঠো দুঃখে
এক চিলতে কান্না ।
এক মুঠো জীবনে
এক চিলতে চাওয়া ।
এক মুঠো সুখে
এক চিলতে হাসি ।
স্মৃতির দুয়ার খুলে আমি
পায়ে চলেছি মেঠো পথে ।
একটা বাড়ি একটা ছোট ঘর!
চৌকিতে বিছানা বালিশ
আর অগোছালো কাঁথা।
এই হল আমার ঘর
আমার বেঁচে থাকা ।
একাকীত্বের সাথে
অব্যক্ত কথা বলা ।
শুরু থেকে শেষ
আবার শেষ থেকে শুরু....

আশা তো কত.....................


জল শুকিয়ে যাওয়া চোখে
নতুন করে জল আসে না
স্বপ্ন দেখা মন যখন স্বপ্নে হারায়
নতুন করে আর স্বপ্ন দেখে না
ভুল করে ভুলে যাওয়া কাউকে
নতুন করে আর মনে পড়ে না!
পুরনো সুখ স্মতি মমতার চোখে
নতুন করে সুখের অনুভূতি জাগায় না !
ব্যর্থ ভালবাসায় যে মন হারায়
নতুন করে ভালবাসা সৃষ্টি হয় না!

Saturday, June 13, 2015

যদি আমাকে চাও


-----------------------------------
যদি আমার শব্দ শুন চাও
এসো তুমি বৃষ্টির কাছে
শুনতে পাবে তোমায় নিয়ে রচিত
ভালবাসার গানগুলো।

যদি আমার বেদনা জানতে চাও
এসো তুমি নদীর কাছে
বুঝবে তাহলে আমার হৃদয়ের নীরব কান্নার ভাষা।
যদি আমার উদারতা জানতে চাও
এসো তুমি ঝর্ণার কাছে
বুঝবে তাহলে
আমার হৃদয়ের স্বচ্ছতা কতটা।
যদি আমার মমত্ব জানতে চাও
এসো তুমি বট বৃক্ষের নীচে
অনুভব করবে আমার হৃদয়ের
বিশালতা কত !
যদি আমার হৃদয়ের কঠরতা জানতে চাও
এসো তুমি পাথরের কাছে
জানবে তখন আমার হৃদয়
নির্মম কতট
যদি আমার ভালাবাসা চাও
এসে তুমি শিশুর কাছে
বুঝতে পারবে
আমার ভালোবাসার
পাগলমো কতটা।
যদি আমার বুকে মাথা রাখতে চাও
চলে এসো সবুজ প্রকৃতির বুকে
জানবে তখন
আমার ভালোবাসা কতটা নির্মল।
যদি হারাতে চাও আমার মাঝে
এসো তুমি সূর্যের কাছে
দেখবে তখন
তোমার প্রিয়ার উত্তাপ

Wednesday, June 3, 2015

অতৃপ্ত প্রেমিকার আত্মা .................................... ছোট গল্প




সমুদ্রের ধারে বিশাল এক পাহাড় ! একজন মেয়ে গভীর রাতে চুপিচুপি এসে হাজির হয় সেই পাহাড়ের ধারে । ধাপে ধাপে সজ্জিত পাথরে পা ফেলে ফেলে মেয়ে উঠতে থাকে পাহাড় চূড়ায় । প্রয়োজন মতো ছোট-বড় লাফ দিয়ে, বহু কষ্টে সে পৌঁছে যায় তার গন্তব্যে । তারপর চওড়া পাথরটার ওপরে বসে অপলক চেয়ে থাকে চাঁদের পানে। পূর্ণিমার চাঁদ উঠেছে আজ আকাশে, চারিদিক ভেসে যাচ্ছে চাঁদের আলোয় ! সাহসী পুরুষ তন্ময় দূর থেকে চাদের আলোতে সে অবাক হল । হাত ঘড়িটার দিকে চেয়ে দেখে রাত একটা । পিস্তলটা দেখে নিল গুলি ঠিক আছে কিনা । রাতের বেলায় কালো পোশাক পরে আস্তে আস্তে পাহারে উঠতে লাগলো ।
ধাপে ধাপে সজ্জিত পাথরে পা ফেলে ফেলে ঠিক মেয়েটার পিছনে দাঁড়ালো । কোন শব্দ করেছে না । মেয়েটির চুল গুলো খুব সুন্দর । পায়ে নুপুর । হাতে অনেক চুরি ও মেহেদি পরা । শাড়ি টা তাঁকে দারুন মানিয়েছে । ভাল করে পা থেকে মাথা পর্যন্ত দেখল । সমুদ্র থেকে বাতাস ভেসে আসছে সাথে শো শো শব্দ ।
মেয়েটি পিছন না ফিরে বলল,
--- কতক্ষণ দারিয়ে থাকবেন । এই পাহারে উঠা খুব কঠিন । যারা কষ্ট করে উঠে তারাই দেখতে পারে রাতের সমুদ্র কে ।
--- কি আছে রাতের সমুদ্রে । আর আপনি একটা মেয়ে মানুষ এখন রাত কত জানেন ।
--- দেখুন আমি তো আপনাকে এখানে আসতে বলি নাই । মেয়ে মানুষ বলে কি আমি মানুষ না । আমার ইচ্ছা নাই । আপনি ছেলে বলে যা খুশি করবেন! তাই সমাজ মেনে নিবে,
--- না !আমি তা মিন করে বলি নাই ।
--- দেখুন এই পাহারে রাতে কেউ আসে না।
--- আপনি আসলেন যে ।
--- মেয়েটি একটু হাসি দিয়ে বলল - আমি তো এই পাহারর মেয়ে । ঐ যে দূর গ্রামে আলো জলছে ঐ গ্রামে আমার বাড়ি।
--- কি নাম আপনার
--- মেয়েটা এবার হাসি দিয়ে বলল , আমার নাম লতা।
--- লতা এত রাতে এখানে থাকা ঠিক না । তা ছাড়া আপনার গ্রাম তো অনেক দূর ।
--- না তেমন কোন দূর না । এই পাহারের ঢাল দিয়ে হেটে গেলে একদম কাছেই । তা আপনার নাম কি?
--- আমার নাম তন্ময় ।
--- তন্ময় বাবু । আপনি দেখতে অনেক সুন্দর ।আড় চোখে দেখল তন্ময় কে
--- তন্ময় অবাক হল ! এত সুন্দর একটা মেয়ে । কত কোমল লাবন্য মায়াবী চেহারা । চাঁদের আলো হেরে যায় সত্যি নারীর রুপে । মেয়েটি হাসতে লাগলো । তন্ময় বাবু । আজ পূর্ণিমা । এই পাহাড় দিয়ে হেটে গেলে বড় রাস্তা । ঐ দিক থেকে আসবে আমাকে নিতে,
--- কে নিতে আসবে ?
--- আমি যার জন্য অপেক্ষা করছি ।
--- তুমি কাউকে ভালবাস ?
--- হা বাবু । আমি তোমার মত এক পরদেশি কে ভাল বাসি ।
--- কি নাম তার
--- আকাশ ।
--- কোথায় থাকে ও
--- ও তো বলে ওর বাড়ি সিলেট এ । আজ আমাকে নিতে আসবে । যখন দেখবে সমুদ্রের এই সোনালি পানি জোয়ারে এই পাহারের কাছে চলে আসছে ও তখনি আসবে।
--- বাহ দারুন তো ।
---- জোয়ার আসলে আমাদের গ্রামের মানুষ আর এই দিকে আসতে পারবে না। ঠিক যখন চাঁদটা ডুবে যাবে একটু অন্ধকার হবে । তখন চলে আসবে আমাকে নিতে । দেখুন চাঁদ ডুবতে আর কয়েক মিনিট লাগবে । আমার আকাশ চলে আসবে ।
--- আপনি কি আকাশের বাড়ির ঠিকানা জানেন।
---- হা জানি তো । সিলেট লিচু বাগান । ১১ নম্বর বাড়ি । আমাকে ও মুখস্ত করে রেখেছে ।
তন্ময় খুব অবাক হল । সত্যি চাঁদের সাথে সুধু আকাশের ঠিকানা হয় । অন্ধকার হয়ে আসছে দেখে ।তন্ময় লতার কাছ বিদায় নিয়ে পাহারের পথ ধরে হাঁটতে লাগলো ।লতা কন্না করছে আকাশ তুমি কোথায় । আমি তোমার রেখে জাওয়া জায়গায় দারিয়ে আছি । এখন লতা চিৎকার করছে আকাশ , আকাশ । তন্ময় চিৎকার শুনে আবার পিছনে ফিরল । জোয়ারে পাহার পর্যন্ত পানি চলে আসছে । অনেক বড় বড় ঢেউ পাহারে আঘাত করছে যেন পাহার ভেঙ্গে ফেলবে । একেবারে চাঁদ ডুবে গেল । কোথাও জোছনার আলো নেই । তন্ময় চিৎকার করে বলছে লতা আপনি কোথায় ।
লতা আকাশ আকাশ তুমি চাঁদ ডুবে যাওয়ার আগে আসলে না। আমি আর বাড়ি ফিরে যেতে পারব না। আমি পূর্ণিমার নিয়ম ভেঙ্গে ছি । আমার যাত নষ্ট করেছি । তুমি এলে না বলে ঐ বিশাল পাহার থেকে সাগরে লাফ দেয় লতা । তন্ময় ও লাফ দিতে নেয় । এমন সময় পিছন থেকে তার হোটেলের ছেলেরা ধরে ফেলে । তন্ময় বলতে থাকে মেয়েটা মারা যাবে । মাকে ছেরে দাও । হোটেলের ম্যানেজার ধমক দিয়ে বলে
থামুন । কোথায় এখানে সাগর । ভাল করে দেখুন । আপনি চাঁদের আলোতে ভুল দেখছেন । সাগর তো অনেক দূরে । তন্ময়ের হুস আসে চেয়ে দেখে । মাথার উপর চাঁদ । সাগর অনেক দূরে । হোটেলের ম্যানেজার বলে । ইস আল্লাহ আপনাকে রক্ষা করেছে । আমি আপনার রুম খুলা দেখে অবাক হই । কোথাও আপনাকে দেখা যায় না। তার পর নাইট ভিসন দূরবীণ দিয়ে দেখি আপনি পাহারের উপরে । আমারা আসতে আসতে দেখি আপনি লতা বলে চিৎকার করছেন ।
--- দেখুন ম্যানেজার সাহেব একটা মেয়ে এই পাহার থেকে লাফ দিয়েছে ।
--- হা আপনার মত গত ১২ বছরে ৯ জন ঐ মেয়েকে বাচাতে মারা গেছে ।
--- আসলে ঐ মেয়েটা একটা ভুত । কেউ এর রহস্য বের করতে পারে নাই ।
তন্ময় খুব অবাক হল । লাফ দিলে সে বাঁচত না । নিচে শুধু পাথর ।
তন্ময় খুব অবাক হল । তিন দিন পরে সে সিলেট চলে আসলো । লিচু বাগান ১১ নম্বর বাড়িতে গেল জানতে আকাশ নামে কেউ আছে কিনা । জানতে পারলো আকাশ আছে । তবে পাগল । জানতে পারলো লতার লাশ দেখার পর থেকে এখন পর্যন্ত পাগল .................................।।