Thursday, April 23, 2015

টুনির বিয়ে .......................................... অনু গল্প


মেয়েটার বিয়ে হয় না তাই কত কানাকানি, বয়স আর কত কুড়ি , আশপাশ থেকে কত ঘর এলো, বাবা বিয়ে দিল না , মেয়েটা পড়ে তখন কেবল ক্লাস নাইনে। পরীক্ষায় পাশ হল না টুনি ।
পর পর দুই বার করল সে ফেল। লিখা পড়া কম বলে সম্বন্ধ আসে খুব কম। যাও আসে সম্বন্ধ
কিন্তু মেয়ে দেখা পর্যন্ত শেষ । টুনি খুব হাসি খুসি মেয়ে । সকালে বিকালে বাসায় কিছু ছোট বাচ্চাদের পড়ায় । টুনির বাবা আক্তার সাহেব ছোট ব্যবসা করে আর এক মাত্র ছোট ভাই সুজন এ বছর পলিটেকনিক কলেজে কম্পিউটারে ভর্তি হয়েছে । ভাই বোনের মধ্য ঝগড়াটা খুব মধুর প্রায় টুক টাক লেগেই থাকে । টুনি কে মহল্লার ছেলেরা বেশ ভয় পায় । টুনির অন্য সব বান্ধবীরা প্রেম করলেও সে ছিল একটু ভিন্ন। টুনির দাদী খুব নামাজি মানুস তা ছাড়া দাদী দাদা খুব ফরায মানুস ছিল । অবশ্য এখন শুধু দাদী বেচে আছে। আজ টুনি কে দেখতে আসবে ছেলে একটা প্রাইভেত ফার্মে জব করে । তাই টুনি কে পাশের একটা পার্লারে গেল একটু ফেসিয়াল করতে । বিকেলে আসলো পাত্র পক্ষের লোক জন । তাদের মেয়ে পছন্দ হল । ছেলে একটু শ্যামলা তবে কালো না। ছেলেদের তেমন ডিমান্ড নাই । টুনির মায়ের পাত্র পছন্দ । তাই টুনির বাবারও পছন্দ । টুনির মতামত জানতে চাইলো টুনির দাদী । দাদী কে টুনি বলল আচ্ছা দাদী তুমি ছেলে কে ভাল করে দেখ আমি এ ছেলে কে বিয়ে করব না । দাদী আমি লম্বা মেয়ে তা ছাড়া ছেলে তার বোন জামাইয়ের সাথে মোরের দোকান থেকে সিগারেট খেয়েছে । আমাকে বলল সুজন । সুজন কে দাদী ডাকল কথার সততা জানতে , জানার পর পাত্র পক্ষ কে না করে দিল । আসলে না করার জন্য টুনির ছিল একটা বাহানা কারন টুনির অ দাদির পাত্র পছন্দ হয় নাই । পাত্র পক্ষ বিদায়ের পর শুরু হল টুনির মায়ের টুনির সাথে টুকটাক । কারন টুনির মায়ের অন্য সব বোনের মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে । একুশ বছরের মেয়ে ! মেয়ে মানুষ কুড়ি মানে বুড়ি। এর মধ্য আর টুনির বিয়ে নিয়ে পরিবারের কেউ কোন কথা বলে না। তিন মাস পরের কথা টুনির ভাই সুজনের বন্ধু সাফাত টুনির বাসায় এলো । টুনির সাথে কথা বলে বেশ একটা সুন্দর সম্পর্ক হল । সাফাতের কোন বোন নেই ওরা তিন ভাই । সাফাতের
মামার বিয়ে টুনির পরিবারের সবার দাওয়াত । তাই সন্ধ্যায় যথা সময়ে সবাই গেল শান্তি নগর একটা চাইনিজ হোটেলে গেল । সুজনের মামা একজন প্রথম শ্রেণীর সরকারী চাকুরীজীবী ।বর্তমানে সে থানা নির্বাহীর হিসাবে আছে । বিয়ের সব মেহেমান চলে আসলো । কনে পার্লার গেছে সবাই কনের জন্য অপেক্ষা
এই বিয়েতে টুনি তার লাকি খালার একটা স্কিন কালার শাড়ি সাথে খুব সুন্দর হিজাব পড়ে এসেছে । টুনি একটু লম্বা হওয়াতে সবাই একবার তার দিকে একটু তাকাতে হয় ! রাত নয়টা কিন্তু কনে আসছে না । সবাই ছবি তুলা আর খাবার নিয়ে ব্যস্ত এর মধ্য খবর এলো পাত্রী নাকি এই বিয়ে করবে না। কারন পাত্রী যে ছেলে কে পছন্দ করত তার সাথে সে চলে গেছে । সারা চাইনিজে আসা অথিতিরা তো থ হয়ে গেল । এমন সু পাত্র রেখে মেয়েটা কি করল । সাফাতের মামা পরে গেল মহা লজ্জায় । এখন পাত্রী কোথায় পায় । এ অবস্তায় সাফাত একটু তার মাকে যেয়ে বলল । টুনি কিন্তু মা অনেক সুন্দর মামার সাথে মানাবে । যদিও আমি আপু ডাকি । যে কথা সেই কাজ । সাফাতের মা টুনির মাকে যেয়ে হাত ধরে বলল আপা আপনার মেয়েটা আমার ভাই এর জন্য দেন । টুনির মা, বাবা বলল পাত্র আমাদের তুলনায় অনেক ধনী ও অনেক বড় মাপের মানুষ কিন্তু এর ............... ভাই আর কোন কিন্তু নাই । মেয়ের মত নিতে হবে তো । ঐ চিন্তা আপনার না সাফাত আর সুজন করবে । লাকি অ্যান্টির স্কেন কালার শাড়ি পড়ে টুনির বিয়ে হয়ে গেল । তিন দিন পরে টুনির বাবা বিশাল অনুষ্ঠান করে মহল্লার সবাইকে দাওয়াত করে মেহেমান দারি করল ..........................................

0 comments:

Post a Comment