Thursday, May 28, 2015

না বলা ভালবাসা ..................... ছোট গল্প


সিমা সানু তারা দুই বোন । তাদের বাবা আলতাফ খান পেশায় একজন নাম করা উকিল । জেলা শহরে এক নামে তাকে সবাই চিনে । আলতাফ সাহেবের বাবার বাড়িতে মেয়ের আদরে বউ হয়েছিল পারুল । আলতাফ সাহেব তখন খুব ছোট ।পারুল কে নিয়ে আশা হয় মুলত খান বাড়িতে কাজের মেয়ে হিসাবে ৯ বছর বয়সে। তখন আলতাফ বয়স বার বছরের মত । আলতাফ সাফ কলেজে পড়ার সময় পারুলের সাথে প্রেমে জড়িয়ে যায়। বড় খান সাহেব খুব বুদ্ধিমান মানুষ তাই ছেলে কে কলকাতায় পাঠিয়ে দেয়। আর পারুল কে বিয়ে দিয়ে দেয় ময়মনসিংহ থেকে রংপুর এক তামাক ব্যাবসায়ির সাথে । সেদিন পারুল খুব কেদে ছিল । রংপুর হারাগাছ পারুলের নতুন সংসার জীবন শুরু । পারুল এসে দেখল সে যাকে বিয়ে করেছে তার আরও দুইজন বউ আছে । এখানে সব মেয়ে রা বিড়ি বানানোর কাজ করে । প্রথম প্রথম খুব কষ্ট পেলেও স্বামী তাকে হাসান মিয়া তাকে বুঝায় দেখ আমারা গরিব মানুষ যে তবে খারাপ না। হাতের কাজ শিখ তখন দেখ কাজের মধ্য থাকলে আর কষ্ট মনে থাবে না। পারুল নিজেকে আস্তে আস্তে ঠিক করল আর স্বামীর কথায় কাজ কে কাজের মধ্য সুখ খুজতে লাগলো ।
আলতাফ কিছুতেই পারুল কে ভুলতে পারছিল না। বাড়িতে আসার পর সারা দিন পুকুর ঘাটেই বসে থাকত । ছেলের এমন অবস্তায় আলতাফ খানের মা তারাতারি ছেলে কি অনেক বড় বাড়িতে সুন্দর দেখে একটা মেয়ে সাথে বিয়ে দিল । কিন্তু আলতাফ মনে করে সে পারুলের সাথে কাজটা ঠিক করে নাই । পারুল আলতাফ কে খুব ভাল ভাবে বুঝত । কোন জিনিস চাইবার আগে তার সামনে চলে আসতো । কত রাত পুকুর পারে বসে বসে শুধু তারা দেখে কাটিয়ে ছে । পারুলের একটা গুন আলতাফ কে খুব মুগ্ধ করত টা হল পারুল খুব সুন্দর করে গান গাইতে পারত । যদিও মেয়েটা দেখতে শ্যামলা কিন্তু আল্লাহ্‌ তাকে মন দিয়েছিল ।
১০ বছরের মধ্য আইন পেশায় খান খুব ভাল করেছে । একটা বিশেষ মামলায় সে রংপুর যায় । সকাল ১১ টায় কাচারির কাজ শেষ করে ফেলে । আলতাফ চিন্তা করল রংপুর যখন এসেছি তাহালে পারুল কে একটু দেখে যাই । যে চিন্তা সে কাজ । রংপুর খুব শান্ত একটা শহর । মানুষ গুলো একটু বেশি সরল ও গরিব । হারাগাছ নেমেই ঠিকানা মত গেল পারুলের বাড়িতে। পারুল ঘরে ডুকে খুব অবাক হল। যেমন টা ভেবে ছিল ঠিক তেমনেই । একটা ছোট ঘর । পারুল আলতাফ কে দেখে অবেক । একটা হাত পাখা নিয়ে বাতাস করতে লাগলো । গত বার বছরে অনেক পরিবর্তন পারুলের । আলতাফ কে বলল-
-- কেমন আছেন । আর কি মনে করে এত বছর পর ।
-- পারুল একটা কাজে আসা তাই ভাবলাম তোমাকে দেখে যাই ।
-- খুব ভাল করেছেন । আমি অনেক ভাগ্যবতী এই যে আপনি আমাকে সরণ রেখেছেন
-- তা পারুল তোমার ছেলে মেয়ে ।
-- পারুল বলল একটা মাত্র ছেলে স্কুলে পারে । আমি তো বিড়ির কাজ করি ।
--- আপনার কথা বলেন ।
-- থাক পারুল আমার কথা । তুমি আমাকে মাপ করে দিও । জীবনে আমি তোমাকে অনেক কষ্ট দিয়েছি
। থাক সে কথা আপনি বসেন আরাম করে । পারুল নিজের হাতে আবার পায়ের মুজা গুলো গুল দিল।
সারা দিন থেকে বিকাল বেলায় বিদায় নিল আলতাফ । বিদায়ের সময় পারুলের হাতে দশহাজার টাকা দিয়ে বলল ঘরটা মেরামত করিস । ছেলে কে লিখা পড়া করাইস । তোর ছেলের নামটা তো জানা হল না।
--- ছেলের নাম মঞ্জু ।
--- আলতাফ অবাক হল । পুকুর পারে বসে বলেছিল তাদের সন্তান হলে নাম রাখবে মঞ্জু ।
সেটা ছেলেই হোক আর মেয়েই হোক । বিদায় নিয়ে চলে আসে আলতাফ । মমতার চোখের জল
নিরবে ঝরে পারুলের চোখে । অবাক মানুষের জীবন ভালবাসা আর মমতা সত্যি মানুষকে এভাবে
কাদাতে পারে তা কিন্তু আলতাফ আগে ভাবতে পারে নাই । সময় গড়িয়ে গেল অনেক দিন এর মধ্য
সানু বসে পেপার পড়ছে বারান্দায়।আজ কলেজ নেই । ময়মনসিংহ মহিলা কলেজে সে পরে । এমন সময়
সিমা এসে বলল --
-- আপু মা ডাকছে আব্বুর নাকি অনেক তোমার উপর অনেক বিরক্ত
-- আমার উপর বিরক্ত তাতে তো কি আব্বু কে বলল আমার টাকা লাগবে। আমি কলেজের পিক নিকে
যাব
--- মা বলেছে তোমাকে যেতে দিবে না ।
--- মায়ের কথায় হবে না । যা বলার আব্বুকে বলতে বলতে বল । আলতাফ সাহেব তার বড় মেয়ে কে একটু বেশি আদর করে । কারন বড় মেয়ে একটু বেশি অভিমানি । আলতাফ সাহেব ডাকল
-- কই মা সানু একটু শুনে যা
-- হা আব্বু বলল , তুমি তো আমার উপর বিরক্ত তাই না ।
-- হ্যাঁ আমি বিরক্ত তবে তোমার উপর একা না । তোমার মা ও মেয়ের উপর ।
-- তা তো হবেই !তুমি তো আম্মুর কোন দোষ দেখ না । আমার সব কাজ আম্মু ভুল ধরে
-- তুমি তো ভুল কর ।
-- হ্যাঁ আমি ভুল করি আর সিমা ভুল করে না ।
-- আছা তুমি পিক নিকে যাবে কিন্তু মাকে নিলে সমস্যা কী
-- আম্মু সাথে গেলে কারো সাথে কথা বলতে দেয় না।
--- অহ তাই বল ।
-- ঠিক আছে দুই বোন যাও । তবে সাবধান ।
এই হল আলতাফ সাহেবের সংসার । কোট থেকে ফিরে চেম্বারে বসে কাজ করছিল এমন সময় একজন ছেলে আসলো হাতে একটা চিঠি । আলতাফ সাহেবের চিনতে অসুবিধা হল না । পারুলের ছেলে তবে এখানে কেন । চিঠি না পরে বলল
-- বাবা বস , কেমন আছ ,
-- জি মামা ভাল
-- কই সানুর আম্মু ও কয়দিন এখানে থাকবে ।
-- কে এই ছেলে ।
-- তুমি চিনবে না । আমার দূর সম্পর্কের বোনের ছেলের ছেলে । যাও বাবা গেস্ট রুমে যাও । আলতাফ সাহেব চিঠিটা পরে অবাক হল । কই শুনছ এই ছেলে কিন্তু জুয়েল ।
-- জুয়েল বল আর হীরা বল আমার মেয়েরা বড় হয়েছে । এত বড় ছেলে বাসায় রাখা যাবে না । তারাতারি অন্য কোথাও রাখো । আকলতাফ সাহেব একটু হাসল । আর মনে মনে বলল এই মহিলা কোন দিন মানবতা কই বুঝবে না ।
রুমটা গুছিয়ে নিল । এমন সময় দুপুরে খাবার নিয়ে ঘরে এলো কাজের মেয়ে মিনা । বলল - আপনি আমাদের ঘরে যাবেন না । যা কিছু লাগবে চেম্বারের সোহেল আছে তাকে বলবেন ।। আমি আপনার ঘরে খাবার দিয়ে যাব । আর ভাই জান আপনার মামার বউ মানে আপনার মামী খুব রাগি মহিলা ।
--- আমি তো এখানে অল্প কিছু দিন থাকব । আসা করি কোন সমস্যা হবে না ।
--- তোমার নাম কি
-- আমার নাম মিনা এই বাসায় কাজ করি ।
-- ও মিনা বোন তোমার বাড়ি কোথায় ।
--- আপনি চিনবেন না । আমাদের বাড়ি নান্দাইল । ভুইয়া পাড়া । আমার বাবা আমার মায়ের রে
খুন করছে । তাই জেলে এই স্যারের বাসায় আমি কাজ করি । ঐ আমার বাবার মামলা চালায়
--- কেন তোমার মাকে তোমার বাবা খুন করল
--- কেন আবার । আমার মা একটা ম্যাসে রান্না করত । পরে ম্যাসের এক বেডার সাথে নাকি প্রেম করেছিল । মা পলাইয়া তার লগে সিনামা দেখতে গেছিল । বাবা টের পাইয়া । মারে গলায় গামছা দিয়া মাইরা ফেলছে । আর ঐ বেডার ও হাত পা ভাইঙ্গা দিছে । ঐ বেডা এখন পঙ্গ ।
--- তোমরা কয় ভাই বোন মিনা ।
--- আমি একা ,
-- অহ মিনা তুমি অনেক ভাল একটা মেয়ে । আমাকে মঞ্জু ভাই বলে ডেক ।
মিনার মনটা আনন্দে ভরে গেল । মঞ্জু অবাক হল কারন সে নিজেও একজন গরিবের সন্তান ।
রাতে খাবারের টেবিলে বলল কি সানুর মা ছেলে টা কোথায় ।
-- ওকে ওর রুমে খাবার দিয়েছি ।
-- কেন আমাদের সাথে বসে খেত ।
--- কে আব্বু সানু ও সিমা বলল
-- তোমরা চিনবে না মা । আমার এক গরিব বোনের ছেলে ।
-- সানুর মা বলল - গরিব তাহালে কিছু টাকা দিয়ে বিদায় করে দাও ।
--- আহ থাম তো । যা না জান তাই নিয়ে কথা বলতে ছো । আর তুম জানবে কি করে তোমার বংশে তো কেউ মেট্রিক পাশ করে নাই ।
--- ঠিক বলেছ বাবা । মা মনে করে টাকা আর বংশ সব । এটা কি ঠিক বাবা । আর কে এসেছে কি পরিচয় বল বাবা সিমার কথা
-- মা মনি ছেলেটা নাম মঞ্জু । এখানে মেডিক্যাল কলেজে পরীক্ষা দিয়েছে
-- ওমা বল কি
-- হ্যাঁ বুয়েটেও দিয়েছে । সানু বলল খুব মজা হবে । আমি কালকে ভাই কে নিয়ে কলেজে যাব । আপু পিক নিকে ও নিতে পার । সবাই ভাবে আমাদের ভাই নাই । সবাই কে অবাক করে দেব যে আমাদের একটা ভাই আছে সে অনেক গুড ছাত্র ।
--- আলতাফ সাহেব মেয়েদের কথা শুনে খুব খুশি । ভাগ্য মেয়েরা তার মত মনের হয়েছে ।
সাকালে মিনা দুই বোন কে নিয়ে গেল গেস্ট রুমে । সানু অবাক হয়ে দেখছে মঞ্জুর চোখের দিকে । কি মায়া লাগা চোখ । সিমা নিজেই বলল - ভাইয়া আমি সিমা ক্লাস টেন । আমার বড় আপু সানু কলেজে পরে ইন্টার প্রথম বর্ষ । আবার মিনা বলল ভাই জান সারের মেয়ে । আপনার মামাত বোন ।
সানু বলল--এই মিনা বিছার চাদরটা বদলাও । আর নাস্তা ঘরের টেবিলে দাও ।
মঞ্জু বলল--
-- না থাক আমি এখানে ভাল আছি
-- বেশি কথা বলা যাবে না । ওকে মিঃ টার । কি বলিস সিমা
-- হ্যাঁ তুমি ঠিক আপু আমাদের ভাই আমাদের সাথে খাবে ।
খুব অল্প সময়ের মধ্য সানু সিমার সাথে তাঁর অজানা মায়ার বন্ধুত হয়ে যায় । বিকেল হলেই চলে যায় কৃষি বিশ্ব বিদ্যাল্যের ক্যাম্পসে । সানু খুব সুন্দর করে বলল - মঞ্জু ভাই তুমি কোথায় পরবে । ধর মেডিক্যাল টিকলে আবার বুয়েট এ । কোন টা বেঁচে নেবে ।
-- সানু তুমিই বল আমি কোনটা নিলে ভাল হয় ,
-- বুয়েট অ্যান্ড সিভিল
-- আমার ও ইচ্ছা
-- ডাক্তারি পড়ার মত টাকা নেই ।
-- মঞ্জু ভাই তোমার টাকার চিন্তা করতে হবে না । আব্বু আছে না।
সানু সিমা আর মঞ্জু তাদের সময় খুব ভালই যাচ্ছে । বিকেলে মঞ্জু বারান্দায় বসে পেপার পরছিল । এমন সময় সানু এসে বলল
-- মঞ্জু ভাই একটা চিঠি লিখে দিতে হবে আমার বান্ধবি কে দেব । এমন ভাবে লিখে দিতে হবে যে
কোন যেন, কোন ছেলে কোন মেয়ে কে দিয়েছে ।
-- মঞ্জু একটু হেসে -আচ্ছা কাল সকালে নিও
-- মঞ্জু ভাই আমি চাই তুমি নাম করা ইঙ্গিনিয়ার হও । আমি আব্বুকে বলেছি । সে তোমার সব
ধরনের সহযোগিতা করবে ।
সিমা দু জনের দিকে তাকিয়ে বলে- সানু আপু আমি কিন্তু মঞ্জু ভাইকে তোমার চেয়ে বেশি পছন্দ করি
-- ঠিক আছে তুই যদি বেশি পছন্দ করিস তাহালে মঞ্জু ভাই তোর ।
-- না আপু আমি এত স্বার্থ পর না । মঞ্জু ভাই কে তোমাকে দিয়ে দিলাম ।
--- মঞ্জু বলে তোমরা দুই বোন আমার কাছে অনেক প্রিয় । সিমা তুমি ভাল করে পড়। সামনে তোমার এস এস সি কিন্তু !
-- আর আপুর লেখা পড়া করবেনা বুঝি ।
সানু মনের অজান্তেই মঞ্জু কে ভাল লাগতে থাকে । সে স্বপ্ন দেখে মঞ্জুর মধ্য নিজেকে । সিমা কে বলে শুন সিমা আমাদের বড় ভাই নাই । মঞ্জু অনেক ট্যালেন্ট ছাত্র । বাবার খুব পছন্দ । আমাদের সাথে থেকে যাবে মঞ্জু ভাই । কি বলিস ?
-- খারাপ হয় না। তুমি কি আবার ভাইয়ার প্রেমে পড়লে নাকি ? যা প্রেমে পড়লে কি তকে বলতাম না
।খুব সকাল মঞ্জু চিঠিটা লিখা শেষ করে কয়েক বার পড়লো । মঞ্জু কিন্তু সানু কে কল্পনা করেই চিঠিটা লিখেছে । কাজের মেয়ে মিনা কে ডেকে মঞ্জু তাঁর হাতে চিঠিটা দিয়ে বলল- এটা সানু কে দিবে । মিনা চিঠি নিয়ে সানু কাছে যাওয়ার সময় সানুর মা বলল - কি রে মিনা হাতে কি দেখি বলে চিঠিটা পেয়ে সানুর মায়ের মাথায় রক্ত উঠে গেল । তখন সানু ও সিমা ঘুমাচ্ছিল । চিঠিটা পড়ে সুজা মঞ্জুর রুমে গিয়ে , মঞ্জুর গালে ঠাস ঠাস করে চর বসিয়ে দিল । আর বলতে লাগলো ছোট লোকের বাচ্চা । এখন জামা কাপড় নিয়ে এ বাড়ি থেকে বের হ । মঞ্জু আর কোন কথা বলে না । বাড়ি থেকে বের হয়ে চলে আসে রেল স্টেশনে । ট্রেন পেয়ে যায় ঢাকার ।
কাজের মেয়ে মিনা দূর থেকে সব দেখে কিন্তু কিছু বলার থাকে না। সানু ঘুম থেকে উঠে নাস্তার টেবিলে । সবাই বসছে এমন সময় সিমা বলে মঞ্জু ভাই কোথায় ।
--- সানুর মা বলে ও চলে গেছে ।
--- সানু চলে গেছে মানে
--- সানুর বাবা কি বলছ । আগামী কাল ও মেডিক্যালে ভর্তি হবে । আমি সব ঠিক করে এসেছি ।
--- সানুর মা সানুর বাবা কে সেই চিঠিটা দেখায় । সানু বলে দেখি । সানু পড়ে বলে খুব সুন্দর করে তো লেখেছে ।
--- সানুর মা বলে কত সাহস সে তোমাকে এই চিঠি লিখে ।
--- মা এই হোল তোমাকে নিয়ে একটা সমস্যা । কোন কিছু না জেনে আগেই মাইন্ড কর । আব্বু আমার বান্ধুবির জন্য এই লিখতে বলেছি । যে ওকে নিয়ে মজা করব । মঞ্জু ভাই তো সিমা আর আমার কথা শুনে এই টা লিখেছে । সানুর মা চুপ হয়ে গেল । নিজের বুকামি বুঝতে পারলো । কিন্তু মঞ্জু কে আর পাওয়া গেল না । মঞ্জু বাড়িতে ও যায় নাই । সানু সারা দিন সারা রাত কান্না করলো ।
মনের অজান্তে সে মঞ্জু কে ভাল বেসেছে । মঞ্জুর মত এত সরল মনের মানুষ কে তাঁর মা মেরেছে ।
সানু আর সিমা দুই বোন বাবা গলা ধরে কান্না করে বলে । বাবা ও কি আর কোন দিন ফিরে আসবে না.............................................

0 comments:

Post a Comment