Monday, May 18, 2015

খুনি প্রেমিক..............................।


সেলিনা জাহান প্রিয়া ।।
মোতালেবের মেয়ের নাম পরী । ক্লাস সেভেন পর্যন্ত পড়ার পরে বাপে আর স্কুলে যাইতে দেয় নাই । গঞ্জের হাটে মোতালেবের ধান চালের বেশ বড় মোকাম । এক মেয়ের পর দুই ছেলের জন্ম । তাই মেয়ে কে খুব আদর করে মোতালেব । টাকা জমি সবেই আছে তার তবে একটা বিষয় খুব মজার তার দ্বিতীয় বিয়েটা ছিল খুব রহস্য। দ্বিতীয় বিয়ে করার পর মোতালেবের যত উন্নতি । একেই গ্রামের এক বিধবা মেয়ে কে বিয়ে করে।ঐ মহিলার অনেক টাকা ছিল তার কারনে বিয়ের পর থেকে কিছু লোক তার পিছনে লেগেছে ।
লাগার কারন টা মোতালেবের দ্বিতীয় বউ রাহেলা । রাহেলা খুব সু কোশলে তার প্রথম স্বামীর সব টাকা পয়সা জমি তার নিজ নামে করিয়ে নেয় ।প্রথম স্বামীর ঘরের ছেলে কে রাহেলা কিছু দেয় নাই । তারা তাদের বাপের ভিটায় থাকে চাচাদের সাথে । রাহেলার ছেলে স্বপণ ও মেয়ে স্বর্ণা তার মায়ের সাথে কথা বলে না। তবে চাচা ও চাচিরা তাদের বাবা মায়ের কষ্ট অনুভব করতে দেয় না।
মোতালেব মিয়া এখন যেমন পয়সাওয়ালা তেমন একটা সু চতুর ব্যক্তি । কেউ তার সাথে কোন কিছু নিয়া বারাবারি করে না। গ্রামের রাজনীতি সে বুঝে তাই সেই সব লোকের সাথে জোট বেধে চলে ।
মোতালেবের বাড়ির সামনে একটা পুকুর পাকা ঘাট , আশপাশের সবাই পাকা ঘাট বলে গাঁ গোসল করতে এই পুকুরে আশে । পরী কলস নিয়ে পুকুর ঘাঁটে পানি ভরছিল ঠিক এমন সময় রঞ্জন বলল
--জল কন্যার কেশ বরন চুল কিন্তু চোখে জল কেন!!
-- মুখে পানি দিলে চোখে জল থাকবে!
-- না আমি ভাব লাম বাবার আদরের মেয়ে তাই বাবার জন্য কাঁদছ।
-- বাবার জন্য কাদলে কি এমন সময় পুকুর ঘাঁটে কেউ জল নিতে আসে ।
-- আহা রে পরী বানু কি তাহালে আমার জন্য ঘাঁটে
-- না তোমার জন্য না । তোমার দাদার জন্য ।
-- ইস আমার দাদির চেহারা দেখছ ।
-- দেখছি । মরার আগে তোমার দাদারে শান্তি দেয় নাই ।
-- ভাল । এই জন্যই আমি তোমাকে পছন্দ করছি ।
-- থাক তোমার পছন্দ নিয়া। বিড়ালের কপালে ইলিশ মাছের কাঁটাও ঝুটে না।
-- অহ তাই ঠিক আছে দেখা যাবে ।
-- শুন রঞ্জন আমার দিকে তাকাইয়া লাভ নাই । তুমি আগামী বছর দিবা মেট্রিক । তার পর এই এ । তার পর সে বিয়ে । আর আমি তোমাকে পছন্দ করে লাভ নাই । আমার বাবা বলেছে এক মায়ের ছেলের কাছে বিয়া দিবে । আমার নাতি নাত্নি হোক তাদের লাইন ধর ।
রঞ্জন অবাক হয়ে পরীর কথা শুনে । আসলে রঞ্জন আর পরী ক্লাসমেট তাই রঞ্জন একটু দুষ্টামি করে অন্য কিছু না। রঞ্জন জঙ্গল বাড়ি হাই স্কুলের খুব ভাল ছাত্র । খুব ভাল বল খেলে । বাবার অবস্তা মোটা মুটি ভাল । তবে নানা বাড়ির অবস্তা খুব ভাল । রঞ্জনের বাবা খুব রাগি মানুষ কিন্তু খুব সত্য বাদি ছয় নয় বুঝে না ।
পরী আর রঞ্জন স্কুল জীবন থেকে এক জন আরেক জনের সাথে দেখা হলে ঝগড়া হবেই । অনেক বার এই জন্য রঞ্জন কে শাসন করেছে মোতালেব মিয়া । এখন পরী বড় হওয়াতে আর বিচার সালিশ নাই । ঝগড়াটা একটা নীবির বন্ধুতে পরিণীত হয়েছে । এ দিকে রঞ্জন আর স্বপনের এক চাচাত ভাই সাজুর সাথে খুব মিল । সাজু আর্মিতে চাকুরি নিয়েছে এ দু বছর । বাড়িতে আসলে আড্ডা হয় রঞ্জনের সাথে । রঞ্জন রা আবার সাত ভাই । এদের মধ্য রঞ্জন ছয় নাম্বার ভাই । অন্য ভাইদের দাপটে রঞ্জন খুব দাপটে চলে ।
রবি বার স্কুল বন্ধ রঞ্জন প্রাইভেট পরতে যায় শঙ্কর বাবুর কাছে । শঙ্কর বাবুর মেয়ে লক্ষ্মী হল পরীর বান্ধবি । মাঝে মাঝে পরী আসে ।
রঞ্জন এসে দেখে স্যার নাই তাই অপেক্ষা করছে এমন সময় লক্ষ্মী বলল-
-- রঞ্জন ভাই পিসির ঘরে যান তারাতারি ।একটা সাপ পিসির ঘরে ।রঞ্জন একটা লাঠি নিয়ে পিসির ঘরে যায় ।
-- কি মারবে নাকি আমাকে
-- ওতুমি!!!ও যে বললা সাপ ।
-- মেয়ে মানুষ আর সাপের মধ্য তেমন কোন পার্থক্য নাই । মেয়ে মানুষ শুধু কানে শুনে । কিন্তু সময়
মত ঠিকেই ছুপ মারে ।
-- ইস কি যে সাপ । তা কোথায় কামড় দিবে ।
-- তোমার কলিজায় ।
-- আমার কলিজা তো নাই ।
-- কেন নাই । শুনি ।
-- কলিজা থাকলে তো তোমারে তুইলা আনতাম ।
-- তুইলা আনতে হবে না। আমার পা আছে । ডাক দিলে হাইটা আসতে পারব ।
-- তুমি আসতে চাইলে কিন্তু আমি কুলে করে আনব ।
-- কুলে করে আনতে হবে না । পারলে একটা সাইকেল নিয়া আইস । চাঁদনী রাতে কাচা রাস্তায় সাইকেল চড়তে অনেক মজা ।
-- সত্যি আইবা তো । মরিস খালি বাজারে যাত্রা আইসে যাইবা ।
-- দাদির ঘরে কিন্তু দাদি তো রাইতে আবার ঘুম থেকে ডাকে পানি চায় , বাথ রুমে যায় ।
-- শুন দাদিরে ৪ টা হিসটাসিন বড়ি বিকালে খাবার স্যালাইনের সাথে খাওয়ে দিও ।
-- সাহস আছে তো । আমি কিন্তু সত্যি আসবো । লক্ষ্মী বলে - কিরে আমারে নিবি । পরী বলে- নারে
লক্ষ্মী এক সাইকেলে দুই সাওয়ারি ভাল না।
-- পরী যাই করিস দেখিস তোর বাপে না আবার রঞ্জন কে ধুলাই দেয় ।
-- লক্ষ্মী দিদি চিন্তা কর না । ওর বাপরে আমি কিন্তু ডরাই না।পরী আমি রাতে পুকুরে একটা ঢিল পারলে তুমি জানালা দিয়া আইস ।
-- কয়টায় আসবা
-- রাত ১১ টায়
পরী কিন্তু দাদিরে ঠিকেই ট্যাবলেট খাইয়ে দিয়েছে সন্ধ্যা ৭ টায় । দাদি রাত নয়টায় বলে -
-- পরী আমার মাথা জিম জিম করে কেন । দাদি মনে হয় প্রেসার লো চিন্তা কর না ।
-- আচ্ছা আমি ঘুমাইলে কিন্তু তাজ্জতের নামাজের সময় ডেকে দিস ।
পরী কিন্তু এমন সাহস কখনো এর আগে করে নাই । এই সাহস টা পেয়েছে তার দ্বিতীয় মায়ের কাছ থেকে । ঐ মা গল্পের ছলে বলেছে আগে নাকি তার বাবা ওনাকে নিয়ে এভাবে করিম গঞ্জ যেত যাত্রা দেখতে ।
পরী মনি খুব অস্তির । একটা কান পুকুরে জলের দিকে । চেয়ে আছে ঘড়ির দিকে । রাত এগার টা । শব্দ পেল পরী মনি । শীতের চাদরটা ভাল করে শরীর মুরিয়ে ঢেকে নিল । সাইকেলে সামনে বসল ।
বেশি কুয়াসা নেই । রঞ্জন খুব সুন্দর করে সাইকেল চালিয়ে নিয়ে যাচ্ছে । রঞ্জন বলল -
-- তুমি আসবা এই বিশ্বাস আমার ছিল ।
-- আমি অবিশ্বাসের কি করেছি শুনি ।
-- কিছু কর নাই আর বাকিও রাখ নাই । তোমার বাবা আমাকে যে কতবার বাবার হাতে মার
খাইয়েছে সে খেয়াল আছে ।
-- সে খেয়াল আছে বলেই তো আসলাম । যেন মাইরাটা ভাল করে খাও ।
-- দেখ কে জানি মুখে লাইট মারছে ।
-- ও রঞ্জন তুমি ভয় পাইয় না। আমরা এখন অন্য ইউনিয়ন এ । এখানে আমাকে কেউ চিনবে না।
-- রাস্তায় যদি ডাকাত ধরে পরী ।
-- চিন্তা কর না কমরে ওড়না দিয়ে একটা দাও সাথে আনছি ।
-- রঞ্জন তো অবাক সত্যি একটা দাও নিয়ে আসছে পরী মনি । তোমার তো অনেক বুদ্ধি ।
-- এটা কিন্তু আমি সৎ মায়ের কাছ থেকে সিখছি । অনেক কথায় কেটে যায় সময় । চাঁদের আলতে রঞ্জন আর পরী ঠিক যাত্রা দেখে চলে আসে । পরিকে রঞ্জন আর বলতে হয় না আমি তোমাকে ভাল বাসি বা পরীকেও বলতে হয় নাই । তারা কেউ কাউকে কোন দিন চিঠি লিখে নাই। শীত শেষ গরম পরেছে । মোতালব মিয়া একটু একটু খবর পায় যে পরী ও রঞ্জন কে মাঝে নাকি রাস্তায় বা মাঠের মধ্য একটা শিমুল গাছ তলে দেখা যায় । কিন্তু কেউ কোন প্রমান দিতে পারে নাই ।মোতালব মিয়া ও চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে । কিন্তু মোতালব মিয়াঁর চোখ গেল মেয়ের পায়ে , দেখল এক পায়ে চেইনের মত নুপুর পারা । আর সেই রকম একটা চেইন হাতে পরা রঞ্জনের । বুঝতে আর বাকি রইল না ।
ভোর বেলা মোতালব মিয়া চিল্লাতে লাগলো ডাকাত ডাকাত । ঘরের দরজা ভাঙ্গা মোতালবের হাত বাঁধা। মোতালবের বউ রাহেলা চিলাচ্ছে । সকালে পুলিশ আসলে মামলা হয় । তিন জন আসামি রঞ্জন সাজু ও কাঞ্চন । কাঞ্চনের বাবার সাথে মোতালব জমি নিয়ে বিরুধ । সাজু ছুটিতে বাড়িতে । গত কাল তিন জন কে একসাথে মোতালব দেখেছে বাজারে । আর যাই কই এক সাথে তিন পাখি । আসলে থানার এক পুলিশের বুদ্ধিতে মোতালব মিয়া এই নাটক করে করে তিন জন কে জেলে পাঠাল ।
রঞ্জন আর মেট্রিক দিতে পারলো না । ছয় মাস পরে জাবিনে বের হল দুই জন। মামলা চলছে । বাড়িতে আসতেই রঞ্জনের মা ছেলে কে ধরে কান্না । মাকে বলল আমি একটু আসি বলে সুজা চলে গেল শঙ্কর স্যারের বাড়িতে । লক্ষ্মী রঞ্জন কে দেখে কাঁদতে লাগলো । বলল
--রঞ্জন ভাই তুমি কি সব খবর জান । রঞ্জন বলল - আমি তো খবর নিতে আসছি ।
লক্ষ্মী বল না, কি খবর । আমি জানতে চাই পরী কেমন আছে । ওর সাথে আমার দেখা করার দরকার
--- লক্ষ্মী কাঁদতে কাঁদতে বলল - কি ভাবে দেখা করবা । তোমাকে জেলে দিয়ে মোতালব চাচা তার
পরের মাসে পরী কে জোর করে করিম গঞ্জ উরদিঘি গ্রামে বড়বাড়িতে বিয়ে দেয় । ও কিছুতেই রাজি ছিল না। পরী বাবা তোমার মামলা তুলে নিবে এই সর্ত মতে বিয়ে করে । পরে জানতে পারে যে ওর বাবা তোমার মামলা শেষ করে নাই । পরে গত মাসে পরী ফাসি দিয়ে মারা যায় । এখন আবার মোতালব মিয়া ঐ পরিবারের লোক নামে হত্যা ও যোতুকের মামলা করেছে ।
রঞ্জনের মাথায় যেন আকাশ ভেঙ্গে পড়ল । কাঁদতে কাঁদতে বাড়িতে আসলো । মাকে জড়িয়ে ধরে আরও জোরে কাঁদতে লাগলো ।
রঞ্জন এখন নীরব একটা মানুষ হয়ে গেল । সাজু আবার চাকুরিতে যোগ দিল । কাঞ্চনের জেল থেকে বের হতে লাগল এক বছর । ঠিক তার দুই বছর পরের ঘটনা। । রঞ্জন গাজি পুর একটা গার্মেন্টস এ কাজ করে ।রমজান মাস । ঐ গার্মেন্টস একজন ভারতীয় বসের সাথে সে থাকে তাই বসের সাথে দু বার পাসপোর্ট ছারা ভারত গেছে । এবার বস পাসপোর্ট করে ভিসা লাগিয়ে দিয়েছে । রঞ্জন কিছু কাপড়ের ডিজাইন আইন তে ভারত যায়। যাওয়ার পর জানতে পারল তাকে আরও পনের দিন থাকতে হবে। রঞ্জনের মাথায় একটা কিরমিনাল বুদ্ধি চলে আসলো । পাসপোর্ট ছারা সে চলে আসলো বাংলাদেশে । সে জানে মোতালেব মিয়া রোজার দিন ফরজ নামাজ পরে মসজিদে । সন্ধ্যায় সে কিশোর গঞ্জ কাচারি বাজার থেকে একটা দা ও চাপাটি কিনে । এক বছরের মধ্য কিন্তু রঞ্জন আর গ্রামে আসে নাই । পাসপোর্ট করার পর থেকে সে লম্বা দাড়ি রেখছে । দা ও চাপাটি টা খুব ভাল করে দার দিয়ে নেয় । তার পর পুরান থানা এলাকা থেকে একটা সাইকেল কিনে ।একটা ছালার ব্যাগে দা ও চাপাটি ভরে রেল স্টেশনে যেয়ে বসে থাকে আর চা খেতে থাকে । রাত তিনটা বাজে। রেল স্টেশন থেকে সাইকেলে করে রওনা দেয় রঞ্জন
তার গ্রামের বাড়ির দিকে । শিমুল গাছ তলে সাইকেল টা রাখে । আর রাস্তার দিকে খেয়াল করে । দেখে টচ লাইট জালিয়ে মোতালেব মিয়া মসজিদের দিকে আসতেছে ।আর যাই কই পিছিন থেকে রঞ্জন বলল
-- বাবাজি আসসালামুলাইকুম
-- পিছনে তাকিয়ে মোতালেব অলাইকুম সালাম কে
-- আমি রঞ্জন কেমন আছেন
-- মোতালেব কোন কথা না বলে চুপ করে হাঁটতে লাগলো
-- মোতালেব তুই চুপ কইরা দারা কিন্ত
-- মোতালেব নিজের বুকে হাত দিয়ে দেখল যে তার বুক কাপতাছে । বাবা রঞ্জন তোমার হাতে কি
-- এক হাতে দা আর এক হাতে চাপাটি দেখতে পাচ্ছ না ।
-- রঞ্জন আমি ভুল করেছি । আমার মেয়েটা বেঁচে নাই। আমি তোমার মামলা এই মাসে তুলে নিব ঈদের আগে ।
-- মোতালেব চুপ কইরা আমার সাথে নাম ধান খেতে। না নাইলে কিন্তু কুপ দিমু ।মোতালেব রঞ্জনের কথা
মত ধান খেতে নামে শিমুল গাছটা নিছে যায় । মোতালেব ভয়ে কাঁপতে থাকে তাছাড়া রাতে খারাপ
স্বপ্ন দেখছে । রঞ্জন বলে মামলা তুই কি শেষ করবি হারাম জাদা । কেউ কি আমাদের বিপক্ষে সাক্ষী
দিবে মনে করছ । হাঁটু গেরে বস হারামি হাত দুটা পিছনে দে।
--- রঞ্জন বাবা আমাকে মাপ করে দাও ।আমাকে মেরে কি হবে বলল ।
---- মোতালেব আমি কি বলছি তরে মারব হারাম জাদা । আজান দিলে তরে জবাই করমু ।
মোতালেবের কোন আকুতি শুনল না রঞ্জন । চিৎকার দিতেই গামছা দিয়া মুখ বেদে মোতালেব কে কুপিয়ে কুপিয়ে মেরে ফেলল । রঞ্জনের সারা শরীর রক্তে ভরে গেল । দা আর চাপাটি নিয়ে আবার সাইকেলে চালাতে লাগলো গ্রামের ভিতর দিয়ে । একটা পুকুরে এসে দা আর চাপাটি ফেলে দিয়ে ছালার ব্যাগ থেকে সাবান বের করে ভাল করে গোসল করল । কটিয়াদি হয়ে চালাক চর বাজারে এসে সাইকেল টা রাস্তায় ফেলে ঢাকা হয়ে আবার ভারতে ।
পনের দিন পরে আবার রঞ্জন গ্রামে এলো । অজ্ঞাত লোকের নামে মামলা হয়েছে । পরীর কবরের কাছে গিয়ে বলল পরী আমাকে মাপ করে দাও । তিন বছরের মাথায় রঞ্জন কিন্তু একে বারে পাগল হয়ে যায় ।
কিন্তু কোথায় রঞ্জন হারাল আজও কেউ জানে না । হয়ত এমন হাজার পাগলের ভিড়ে আছে ঐ পরীর রঞ্জন ।।
কারো জীবনের সাথে কিছু মিলে গেলে দুঃখিত । এটা একটা গল্প

0 comments:

Post a Comment