Friday, February 27, 2015

অনু গল্প ........................ টেলি ম্যারিজ



ছেলে প্রবাসি দুবাই থাকে  প্রায় ১০ বছর । ইতিমধ্যে পরিবারের আর্থিক অবস্থা ভাল পরিবর্ত হয়েছে। ছেলে দেশে আসবে আসবে করে আসে না । মা ছেলে কে দেখতে চায় কিন্তু ছেলে আসে না । একদিন এক প্রতিবেশী বলল শুন সজলের মা সজল কে বিয়ে দাও । এটা কেমন কথা ছেলে বিদেশে তাকে বিয়ে করাব কেমনে ।
কি যে বল সজলের মা ? এখন কি দুনিয়া আগের মত আছে । ঐ যে আমাদের পাশের গ্রামের রমিজের বিয়া হইল মোবাইল ফোনে ।
কি  কউ ? এটা কি সম্ভব ।
হা তুমি সজলের বাপের সাথে আলাপ কর , একটা সুন্দর মেয়ে দেখে বিয়া দাও। তখন দেখবা ঠিকেই নতুন বউয়ের টানে পোলা দেশে আসবো।
সজলের বাবা কথা শুনেই মেয়ে দেখতে শুরু করল । ছেলেও রাজি হল বিয়ে করতে ।
অনেক দেখা পর মেয়ে পাওয়া গেল । মেয়ের বাড়ির সবাই রাজি । দিন তারিখ ঠিক হয়ে সজলের সাথে পরী বেগমের মোবাইলে বিয়ে হল ।
মাঝে মাঝে সজল ফোন করে ।  টেলি ফোনে মান অভিমানে কেটে যায় কত বেলা ।
সজলের বন্ধু একদিন সজল কে বলে  বন্ধু না বলে একদিন দেশে যাও খুব মজা হবে ।
সবাইকে চমকে দাও ।সোজা শ্বশুরের বাড়ি । বউ দেখবে মেকাপ ছড়া। এটারমজাটা একদম ভিন্ন রকম ।
সজল ফোন করে পরী কে বলল তিন মাস পরে দেশে আসবে । দুই পরিবারেই খুব খুশি কিন্তু  সজল সেই দিনেই বিমানে দেশে  চলে আসে ।
সজল রাত ১১ টায় থানা শহরে নেমে তার বন্ধুর বাড়িতে উঠে । রাত বার টায় সে গ্রামের রাস্তা দিয়া চাঁদের আলোতে পরীদের বাড়ি দিকে হাটা শুরু করে । আনুমানিক রাত একটায় সে দেখল যে পরীদের বাড়ির সামনে  সে ।  গেইটে বড় করে লেখা তালুকদার বাড়ি । সে খুব চুপ চুপ করে বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করতে ছিল ঠিক তখনেই বাড়ির কেউ চীৎকার করল চোর চোর চোর । আর যায় কোথায় । সবাই চীৎকার চোর চোর চোর । চোর ধরে বাড়ির সবাই উত্তম মধ্যম দেয়া শুরু করল । কেউ তার কথা শুনছে না । হাত পা মুখ বেধে গাছের সাথে বাঁধল । যে যেভাবে পারছে চর লাথি মারছে । বাড়ির মুরুব্বি এসে বলল ঐ তোরা থাম আগে পরিচয় জেনে নেই । মুখ খুললে সে কাঁদতে কাঁদতে বলল । আমি দুবাই থেকে আসছি ।আমার নাম সজল , আমি পরীর স্বামী ...........................................................................

0 comments:

Post a Comment