Saturday, February 21, 2015

একা নিঝুপ দ্বীপে



সেদিন রাখাল চুপি চুপি এসে বাঁশি নিয়ে হাজির হয়েছিল
বিকেল শেষ এখনো সন্ধ্যা নামেনেই চেনা-অচেনা আঙিনায়
দখিনা বাতাসে বুঝতে পারছিলো ফাগুন বুঝি বয়ে যায় মনে,
কৃষ্ণচূড়ার শাখে চোখ পড়ছিল আমার রাখাল বন্ধু অরণ্যের
চিকন পাতার ভাঁজে লুকোনো ছিল ভালবাসার লাল আবির!

কেবল বুঝতে পারে পাখি নদী শ্যামল ছায়া বয়ে আর সাদা মেঘ
জাফ লং

বসন্তের ভরা বাগানে চাঁদের প্রেমে উতলা হওয়া রাখালের শুরে
মকুল কচিপাতা বাতাস ঘিরে ধরে মাতাল প্রহরের বাঁশীর ছন্দে
শিমুলের ডানায় কোকিল অপ্সরী অপলক নয়নে তাকিয়ে থাকে
আমি ঘুমে ঘমে শিমুল বনে রাখালের হাত ধরে হাটি চৈতি বসন্তে ।

এতো কবিতা, এতো গান, এতো সুর,এই যে এতো কিছু জীবনে,
চৈতি হাওয়ার প্রতিদিনই রাঙিয়ে দিয়ে যায় কোনো না কোনো
বাসর রাতের অচেনা আঙিনায় বধূর ফুলে ফুলে বসন্তের প্রহর
কেবল আমি একলা বসে থাকি,সাথে বসে থাকে বিরান প্রহর
তারও দিন যায়,মাস যায়, বছর যায় পদ্মা তিস্তা চৈতি খা খাঁ ।

আবার ফাগুন ফিরে আসে চুপি চুপি বাঁশি নিয়ে রাখালের সুরে সুরে
অন্ধকার কুড়ের ঘরে এক কোণে অবহেলে পরে থাকে আমার বসন্ত
কতো ফাগুন আসে, কতো ফাগুন বাতাসে ভাসে নিল আকাশের দেশে ,
সব পাখি খুঁজে পায় নীড়, কতো পায়রা উড়ে মনে বদ্বীপে ভুল পথে
কেবল কেউ কোনো দিন আমার কোনো খোঁজ রাখে না নিঝুপ দ্বীপে !!

0 comments:

Post a Comment